রুয়েট উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মোতাহার হোসেনের হাইকোর্টে রিট

বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১ | ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

রুয়েট উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মোতাহার হোসেনের হাইকোর্টে রিট
apps

অভ্যন্তরীণ প্রার্থী নিয়োগে ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান অমান্য করার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (পিটিশন নম্বর ৪১২৫/২০২১) দাখিল করেছেন এক চাকরি প্রার্থী।

ন্যায় বিচারের আশায় ৫০ শতাংশ পদোন্নতির জন্য গত রবিবার (০৪ এপ্রিল) রুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (আপগ্রেডেশন) মো. মোতাহার হোসেন নামে অভ্যন্তরীণ ওই চাকরি প্রত্যাশী হাইকোর্টে ডিভিশনের বিচারক বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে (আদালত-১৭) এই রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে তার রিট পিটিশনটি মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) মহামান্য হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে মঞ্জুর করা হলে তা শুনানির জন্য ৫৪ নং কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ চাকরিপ্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘রুয়েটে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালাতে এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রয়েছে। ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিষয়টি বাস্তবায়নে রুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারি সমিতির রেজুলেশনের মাধ্যমে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার মহোদয়কে অবহিত করেছিলেন।

কিন্তু রুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে এই বিধান বাস্তবায়ন না করায় অভ্যন্তরীণ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) পদে আমাকে পদোন্নতি প্রদান করা হচ্ছে না বলে আমি জানতে পেরেছি। আমি মনে করি, যোগ্যতা থাকার পরও আমাকে এই পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য ন্যায়বিচারের আশায় মহামান্য হাইকোর্টে আমি একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছি।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের আবেদনের একটি কপি রুয়েট প্রশাসনের নিকট আসলে তা গ্রহণ করা হয়নি। রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন তার অধ্বস্তন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনকে (সিনিয়র সহকারী পরিচালক) তা গ্রহণ করতে নিষেধ করেন। রিট পিটিশন ও এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, রুয়েটে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৭৮ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর অধিকাংশ পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব পদের জন্য অধিকাংশ প্রার্থীই ভিসি এবং রুয়েট প্রশাসনের একাধিক শিক্ষক এবং শিক্ষক সমিতির দুই জন নেতা ও অফিসার সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতির নিকটাত্মীয় ও জ্ঞ্যাতিগোষ্ঠী বন্ধু বলে বিভিন্ন অভিযোগ মারফত জানা যায় । এছাড়াও ভিসির বন্ধু মহল ও নিয়োগ বোর্ডের অনান্য সদস্যদেরও রয়েছে নিজ নিজ চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থী।

যার কারণে রুয়েটের এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায় বিভিন্ন অভিযোগ, এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আলি হোসেন ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ এর ভগ্নিপতি আছে এবারের চাকুরী পাওয়ার তালিকায়, এবারের চাকুরী পাওয়ার তালিকায় নাম শোনা যাচ্ছে অফির্সাস সমিতির সভাপতি দীলিপ কুমার ঘোষের নিকট আত্মীয়ের সেকশন অফিসার পদে , শোনা যাচ্ছে অফির্সাস সমিতির সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনের নিকট আত্মীয় রাজেফা বেগম সহকারি রেজিস্ট্রার পদে তার নাম শোনা যাচ্ছে, আছে শিবির নেতা এবং রুয়েট অর্থ ও হিসাব শাখার অতিরিক্ত পরিচালক জনাব ফয়সাল আরেফিনের বউ তানিয়া তালুকদারের নামের তালিকা আছে অডিট ও হিসাব সেলের সহকারি পরিচালক ও অফির্সাস সমিতির অর্থ সম্পাদক জনাব মুক্তার হোসেনের বউ ও নিয়োগের খবর পাওয়া যাচ্ছে এছাড়াও কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান বাদশার মেজো ছেলে এবং রুয়েট অফিসার্স সমিতির প্রচার সম্পাদক দিপনের বউয়ের ও নাম শোনা যাচ্ছে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে রুয়েটের নিয়োগ পাওয়ার তালিকায় , এছাড়াও গত কয়েকদিনে বিভিন্ন কারণে অফির্সাস সমিতির ৪ জন গত ০৪।০৪।২০২১ তারিখে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন,এবং সামনে আরো অনেকের পদত্যাগের গুনজনও শোনা যাচ্ছে পদত্যাগকৃত ব্যক্তিদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা গনমাধ্যমকে জানান যে, কোন ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ হাসিলের জন্য রুয়েট অফিসার্স সমিতিটি গঠিত হয়নি, অফিসার্স সমিতিটি হচ্ছে সকল অফিসারদের কল্যানে কাজ করার জন্য , কিন্তু বর্তমান রুয়েট অফিসার সমিতিটির কিছু কতিপয় ব্যাক্তি বিশেষ তারা তাদের নিজের ও তাদের কাছের মানুষদের কল্যাণের জন্য কাজ করছেন। এই কারনে আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি গ্রহন করেছি ।

Development by: webnewsdesign.com