ত্রিপল মার্ডরের রহস্য উদঘাটন

বিকৃত যৌন লালসা,প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরে কয়রার ট্রিপল মার্ডার

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ২০২২ | ১:৪৭ অপরাহ্ণ

বিকৃত যৌন লালসা,প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরে কয়রার ট্রিপল মার্ডার
apps

বিকৃত যৌন লালসা, প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি ঘটে। গতকাল খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ট্রিপল মার্ডারের অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী। সে খুব চতুর। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল। টিমওয়ার্ক ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে ৮ই জানুয়ারি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। স্বীকারোক্তিতে আব্দুর রশিদ জানিয়েছে, মামলার অপর আসামি জিয়া ও মোসা. রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পর্কে বাধা প্রদানকারী হাবিবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়।

ওইদিন রাতে ১২ টার দিকে জিয়া ও সামসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাবিব, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা টুনিকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ছয়জন আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পুলিশ সুপার জানান, ভিকটিম হাবিবুরের সঙ্গে অন্য আসামিদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল। নিহত আর্থিক প্রতারণারও শিকার হয়ে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের পানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। মামলার অন্য আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২৫শে অক্টোবর রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়। ২৬শে অক্টোবর স্থানীয় আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতান টুনির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের মা কোহিনুর বেগম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

Development by: webnewsdesign.com