পশ্চিমবঙ্গে ৪ দিন ধরে হাসপাতালের লিফটে আটকে ছিলেন বৃদ্ধা!

রবিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২২ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিমবঙ্গে ৪ দিন ধরে হাসপাতালের লিফটে আটকে ছিলেন বৃদ্ধা!
ফাইল ছবি।
apps

টানা ৪ দিনের বেশি সময় লিফটে আটকে রইলেন এক বৃদ্ধা। হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসে তিনি আটকে যান। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

বৃদ্ধার নাম আনোয়ারা বিবি। তার বয়স ষাটের কোটায়। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুরিয়া থানার পশ্চিম চণ্ডীপুরে। তিনি স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই সোমবার সকালে একাই ট্রেনে করে চলে আসেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে একটু দূরে নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজের আউটডোরে। টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাবেন। ডাক্তার দেখানোর জন্য ছোট লিফটে উঠতেই মাঝপথে আটকে যান। ব্যস, সব বন্ধ।

আনোয়ারা বিবির ছেলে আবুল হোসেন মণ্ডল শনিবার রাতে বলেছেন, “এক বোতল পানি আরেকটা চিড়ের প্যাকেট নিয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমার মা লিফটের মধ্যে আটকে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে কেউ একজন ফোন করে বলেন, মা হাসপাতালের ফাঁড়িতে আছেন। এসে নিয়ে যান।”
আবুল হোসেনের কথায়, “এই ক’দিন সব জায়গায় খুঁজেছি। হাসপাতালের ফাঁড়িতে গিয়ে শুনি মা লিফটে আটকে ছিলেন। লিফটের মধ্যে এক বোতল পানি আর চিড়ে খেয়েছেন। সেখানেই প্রস্রাব করেছেন। এমনটা কী করে হলো বুঝতে পারছি না।”

তিনি থানায় ডায়েরি করেছেন। আবুল হোসেন বলেন, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে যান তার মা। লিফট খারাপ হয়ে যাওয়ায় আটকে যান। তবে মাকে খুঁজে পেয়ে আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি। সোজা বাড়ি চলে আসেন। কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাননি তার কোনো স্পষ্ট উত্তর মেলেনি আনোয়ারা বিবির ছেলের থেকে। তবে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

শনিবার পশ্চিম চণ্ডীপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন আনোয়ারা বিবি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লিফটে আটকে থাকলেও কেন কেউ জানতে পারল না। এমনকী, একটা লিফট বিকল হয়ে রইল কিন্তু মেরামত হলো না? এন আর এসের মতো ব্যস্ত একটি সরকারি হাসপাতালে এমনটা কী করে সম্ভব?

তবে এমন ঘটনায় বিস্মিত রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। রাজ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীও রীতিমতো বিস্মিত। তার কথায়, ‘এন আর এসের মতো রীতিমতো ব্যস্ত হাসপাতালে লিফটে একজন আটকে রইলেন সোমবার দুপুর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কিন্তু কেউ জানতেও পারল না? এটা কী করে সম্ভব!” তার কথায়, ‘সমস্ত ঘটনা জানতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হবে।”

Development by: webnewsdesign.com