দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক দেশ : রব

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক দেশ : রব
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক দেশ : রব
apps

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আগামী বছর থেকে ১০ এপ্রিল ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ বা ‘রিপাবলিক ডে’ হিসেবে পালন করা হবে। এটা হবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক। আওয়ামী লীগের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক নৈতিক, মানবিক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আর কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। ক্ষমতার সর্বগ্রাসী মোহ আওয়ামী লীগকে খেয়ে ফেলেছে। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আ স ম রব।

বিবৃতিতে রব বলেন, দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। দেশ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে আমাদের দাবি সমূহ হচ্ছে-
১) ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ বা ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণা।
২) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ত্রয়ী আদর্শের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক নীতি প্রণয়ন।
৩) ‘৭২-এর অকার্যকর সংবিধানের আমূল পরিবর্তন ও স্বাধীন দেশের উপযোগী সংবিধান প্রবর্তনে গণভোটের আয়োজন।
৪) রাজনৈতিক দলের সাথে সকল সমাজশক্তির রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার প্রদান তথা অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র কায়েম।
৫) এককেন্দ্রিক ক্ষমতার পরিবর্তে ফেডারেল সরকার, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও প্রদেশ গঠন।
৬) স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ লক্ষ্যে চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ৩১ দফাকে কেন্দ্র করে গণজাগরণ ও গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে অবৈধ সরকার অপসারণে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐতিহাসিক কর্তব্য পালনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে ১০ এপ্রিল ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণার দাবিতে জেএসডির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে। সভার সভাপতি আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় দলের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রের দর্শনগত দিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু সেই দর্শনকে উপেক্ষা করে সংবিধান রচনা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ১৯৭১ সালের ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চের ভাষণ-সহ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মতো ঐতিহাসিক মাইলফলক বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হতে পারে না।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ৫২ বছর পর অবৈধ সরকার ক্ষমতায় বসে আছে, এর থেকে দুর্ভাগ্য হতে পারে না, সব দখল করে ইতিহাস দখলের পাঁয়তারা করছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বলতে কিছু নাই। তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা এবং রাষ্ট্রীয় সকল কিছু কুক্ষিগত করা। নৌকা প্রতীক থাকলে জনগণ ভয় পেয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবে না, এজন্য দলীয় প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভোট চুরির প্রকল্প অব্যাহত আছে। যে দেশে ভোটের কোনো সুযোগ নাই সেখানে কিসের নির্বাচন! উপজেলা নির্বাচনের নামে আবারও ধাপ্পাবাজি করছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শরিফ নুরুল আম্বিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির প্রমুখ।

Development by: webnewsdesign.com