টেকনাফে মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫:৫৬ অপরাহ্ণ

টেকনাফে মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
টেকনাফে মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
apps

মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের ও তার বেশ কয়েকজন অনুসারী জরিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদার: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘প্রাথমকিভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা হতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এ সকল মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমান প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, ‘সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলা সমূহের মধ্যে ০৩ টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত ১,০১,২৩,৪২৫ (এক কোটি এক লক্ষ তেইশ হাজার চারশত পঁচিশ) টাকা ফ্রিজ করেছে। আরো ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২ টি বাড়ি ও ১ টি গাড়ি যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে তার রিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে মাদকের সকল গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে তাদের অবৈধ সম্পদ আইনী প্রক্রিয়ায় সরকারী কোষাগারে চলে যাবে।’

দেশ প্রেমিক সকল মানুষের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ৭৯ হাজার ৬৭৫টি, ২০২২ সালে ৮২ হাজার ৬৭২টি এবং ২০২৩ সালে ৭৬ হাজার ৪০৩টি মাদক মামলা রুজু হয়েছে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা রুজু হয়ে থাকে।

Development by: webnewsdesign.com