ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির উপর হামলা: ইবি সংসদের প্রতিবাদ

বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১ | ৩:৩৮ অপরাহ্ণ

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির উপর হামলা: ইবি সংসদের প্রতিবাদ
apps

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও কর্মী জোবায়ের সজলের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ।

মঙ্গলবার ইবি সংসদের সভাপতি নূরুন্নবী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি. কে. সাদিক এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ‘গত ৪ এপ্রিল ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা নগর কমিটির কর্মী জোবায়ের সজল কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সমালোচনার জের ধরে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবন থেকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে কমিউনিস্ট পার্টি, শান্তিরনগর নেতা মঞ্জুর মঈন।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসলে তাকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদক জলি তালুকদার, জওহর লাল রায়সহ আরো কয়েকজন। সংগঠন থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হলে সিপিবি কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীয় সদস্য জলি তালুকদার ও শান্তিনগর শাখার নেতা হযরত আলী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে। এই ধরণের ঘটনা নিন্দনীয়। অনতিবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা এই ঘটনাকে মোটেও বিচ্ছিন্নভাবে দেখছি না। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র ইউনিয়নে আধিপত্য স্থাপনের জন্য সংগঠনের ঐক্য বিনষ্ট করতে সক্রিয়। এমনকি আধিপত্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সংগঠনের ভাঙ্গনের জন্য যে কোনভাবে সম্মেলন ডাকার জন্য উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। গত ৬ মার্চ কুষ্টিয়া জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদকে বাসায় জলি তালুকদারের সাথে দেখা করতে গেলে ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিক ছাত্র ইউনিয়নের রিকুইজিশন কাউন্সিল পক্ষাবলম্বনকারিদের সাথে কেন সহযোগিতা করছে না এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷

তারা বলেন, জি কে সাদিক তার সাংগঠনিক অবস্থান ব্যাখা করলে জলি তালুকদার তার উপর ক্ষেপে যায় এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের কাছে ছাত্র ইউনিয়ন ও জি কে সাদিকের বিষয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ইবি ছাত্র ইউনিয়নকে ভাগ করতেও তৎপরতা শুরু করেন। একই সাথে ছাত্র ইউনিয়ন দুই ভাগ হলে সে কিভাবে ছাত্র ইউনিয়ন করে তা দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

জি কে সাদিক যেহেতু সিপিবির সভ্য তাই এই ঘটনার পর সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও সিপিবি থেকে এই ঘটনার কোন সুরাহা তো দূরের কথা কেউ যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি। আমরা মনে করি শুরুতেই জলি তালুকদারের ব্যাপারে অভিযোগ আসার সাথে সাথে সিপিবি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গতকালের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না।

তাই পুরো ঘটনার দায় সিপিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ এড়াতে পারেন না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সিপিবি থেকে অভিযুক্তের প্রতি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ হামলার শিকার হন। এর আগে বিকালে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী জোবায়ের সজলের হামলা শিকার হন।

দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-০৭

Development by: webnewsdesign.com