সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে জেলাব্যাপী চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার দুর্গোৎসবের চিরপরিচিত আমেজ না থাকলেও মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে পূজার আমেজকে ঘিরে শহরের মার্কেটগুলোয় কেনাকাটার ওপর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। তবে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দুর্গাপূজা পালনের কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে, দুর্গা পূজাকে ঘিরে মৃৎ শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চলমান প্রতিমা তৈরির কাজ জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনি বার্তা। দেবী দুর্গার প্রতি ভক্তি আর শ্রদ্ধায় প্রতিমা সহ বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরা জেলার মৃৎ শিল্পীরা। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার মায়ের বাড়ি মন্দির, কাটিয়া মন্দির, বড়বাজার মন্দির, নারকেলতলা মন্দির ও জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল-তিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমায় রং তুলির কাজ। এভাবেই দিন-রাত এক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। পূজামণ্ডপগু গুলোতে দেবী দুর্গা তার বাহন সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হচ্ছে যাকে বধ করার জন্য দেবীর আগমন, সেই মহিষাসুরের প্রতিমা। এছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে দেবী লক্ষী, সরস্বতী, দেবতা কার্তিক, গণেশ, পেঁচা, হাঁস, ইঁদুর আর ময়ূর।
তবে মৃৎশিল্পীরা জানান, নদীর কাঁদা মাটিই প্রতিমা তৈরির মূল উপকরণ। তারপর বাঁশ, সুতা, কাঠ, খড়, রং, কাপড় ও মুকুটও কাজে লাগানো হয়। মাটি দিয়ে প্রতিমা বানানোর পর তা রোদে শুকানো হয়। প্রতিমা বানাতে ৪ হাতের একটি প্রতিমায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এর বাইরে আবার লাখ টাকার ওপরেও খরচ ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে প্রতিমা তৈরির নানা ধরনের উপকরণ ও শ্রমের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এর খরচও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে’। প্রতিমা সর্বনিম্ন ৪ হাত ও সর্বোচ্চ চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা যায়।
সাতক্ষীরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল জানান, ‘এবারের পূজায় স্বাস্থ্যবিধির ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য পূজার ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সরকারের ও পূজা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের পূজা সম্পূর্ণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com