গোদাগাড়ীতে যে কারণে সৎ ভাইয়ের হাতে খুন হলেন তরুণী

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২:১১ অপরাহ্ণ

গোদাগাড়ীতে যে কারণে সৎ ভাইয়ের হাতে খুন হলেন তরুণী
গোদাগাড়ীতে যে কারণে সৎ ভাইয়ের হাতে খুন হলেন তরুণী
apps

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের হরিলাল দাসের ছেলে ফুলবাবু নিহত সন্ধ্যার সৎভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২) ফুলবাবুকে নগরীর কর্ণহার মোল্লাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে, ফুলবাবুর স্ত্রী মিনতী রানী (২৫), গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯)। পলকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামে। পলককে নগরীর লক্ষীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এবিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, সন্ধ্যা রানীর মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত তরুণীর পরিচয় জানা যায়। এছাড়া এই খুনের সঙ্গে জড়িতদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে স্বীকার করেছেন।

ওসি জানান, ফুলবাবু তাঁর স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখানে সন্ধ্যার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেখানে তারা একটি ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে। রাজশাহী চলে আসার পর ফুলবাবু তার বোনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। সন্ধ্যা রানী সঙ্গে তার ভাবি ও সৎ ভায়ের ঝগড়া হয়। তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য ফুলবাবু, তার স্ত্রী মিনতী ও আদিল মঙ্গলবার বিকালে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় যান। আসার আগে রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার থেকে একটি ছোট ছুরি আর কাটার কিনেন।

গোগ্রাম গিয়ে তারা সিএনজিটি ছেড়ে দেন। এরপর হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। পরে কৌশলে ওই নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানের জমির নালায় ছুরি পুঁতে রেখে যান। আসামিদের নিয়ে গিয়ে বিকালে এই ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে। কিন্তু মামলার বাদী করার মতো কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। নিহত তরুণীর বাবার খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরে এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। আর ঢাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটির তদন্ত করা হচ্ছে।

Development by: webnewsdesign.com