রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

গত এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনা, ঝরেছে ৪৯৭ প্রাণ

শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ | ৬:১৯ অপরাহ্ণ

গত এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনা, ঝরেছে ৪৯৭ প্রাণ
গত এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনা, ঝরেছে ৪৯৭ প্রাণ
apps

প্রতিদিনই সড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। সড়ক দুর্ঘটনা রূপ নিয়েছে জাতীয় দুর্যোগে। গত এপ্রিল মাসেই সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। আর এতে ঝরেছে ৪৯৭ প্রাণ। আহত হয়েছেন ৭৭৮ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৯। শিশু ৮৮ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল। ১৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০১ জন। যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পথচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সারাদেশের স্কুল-মাদরাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন (৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ), বাসযাত্রী ১৪ জন (২ দশমিক ৮১ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৩১ জন (৬ দশমিক ২৩ শতাংশ), প্রাইভেটকার আরোহী ৫ জন (১ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৯ জন (১৯ দশমিক ৯১ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটম-লাটাহাম্বা) ১৮ জন (৩ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ২০ জন (৪ দশমিক ০২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনাসমূহের ৭১টি (১৬ দশমিক ৪৭%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯৫টি (৪৫ দশমিক ২৪ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি (২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৩৫টি (৮ দশমিক ১২ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২১টি (৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য তিনজন, বিজিবি সদস্য তিনজন, আনসার সদস্য একজন, গ্রাম পুলিশ দুজন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ৯ জন, দন্তচিকিৎসক একজন, পল্লী চিকিৎসক একজন, ডিপিডিসি কর্মকর্তা একজন, দুদকের কর্মকর্তা একজন, বন বিভাগের কর্মকর্তা একজন, তহশিলদার একজন, সাংবাদিক তিনজন, আইনজীবী দুজন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা পাঁচজন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১১ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুজন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৯ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৮ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১৪ জন, পোশাক শ্রমিক সাতজন, কাঠমিস্ত্রি তিনজন, ইটভাঙা শ্রমিক চারজন এবং সারাদেশের স্কুল-মাদরাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

Development by: webnewsdesign.com