খোঁজ মিলেছে নতুন আরেকটি পৃথিবীর

রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | ১:১২ অপরাহ্ণ

খোঁজ মিলেছে নতুন আরেকটি পৃথিবীর
apps

সৌরজগতে মানুষের গ্রহ একটিই। যার নাম পৃথিবী। কিন্তু পৃথিবীর মতো এমন আরেকটি পৃথিবীর খোঁজ যদি পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা বিজ্ঞানীদের যুগ যুগের। বিভিন্ন সময় মানুষের বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে দাবি করে তোলপাড় তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনও পৃথিবীর সন্ধান এখনও মেলেনি।

তাই বলে বসেও নেই বিজ্ঞানীরা। প্রতিনিয়তই মানুষের বাসযোগ্য নতুন গ্রহের সন্ধানে চলছে তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা। এরইমধ্যে গেল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) আবারও কৌতুহলি তথ্য দিয়েছে। মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা এই সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা মানুষের বসবাসের যোগ্য নতুন গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন। সেটিও আবার খুব বেশি দূরে নয়, পৃথিবীর অদূরেই।

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের হনুলুলুতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক বৈঠকে নতুন এই গ্রহের কথা জানানো হয়। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি নতুন এ গ্রহটির সন্ধান পাওয়ার ঘোষণা দেয়। গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে ‘টিওআই৭০০ডি’।

পৃথিবী থেকে কত দূরে গ্রহটি? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাসা দাবি করেছে, নতুন ওই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। যেটি দেখতে পৃথিবীর মতোই। গ্রহটি ‘টিওআই৭০০’ নামে একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এবং পৃথিবী সূর্য থেকে যে পরিমাণ শক্তি পায় ওই গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে এর ৮৬ শতাংশ শক্তি পাচ্ছে।

আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার। এক বছরে আলো যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকেই বলা হয় এক আলোকবর্ষ।

নতুন এ গ্রহটি আবিষ্কার করেছে নাসার গ্রহ অনুসন্ধানকারী কৃত্রিম উপগ্রহ টেস (টিইএসএস)। ২০১৮ সালে মহাকাশে টেস উৎক্ষেপণ করেছিল নাসা।

নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন গ্রহটি এমন দূরত্ব থেকে টিওআই৭০০ নামের যে নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করছে যা ওই সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের দূরত্বের বিবেচনায় এমন দাবি করছে নাসা। যে দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

নাসা জানিয়েছে, টিওআই৭০০ নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে আকারে ৪০ শতাংশ ছোট। উত্তাপও সূর্যের অর্ধেক। তবে টিওআই৭০০ডি গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে আকারে ২০ শতাংশ বড়, যেটি মাত্র ৩৭ দিনে তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে।

Development by: webnewsdesign.com