কাজিপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

কাজিপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত
কাজিপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত
apps

সুখে ভরবে আগামী দিন,পেনশন এখন সর্বজনীন”,এই শ্লোগান কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে পেনশন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ এপ্রিল বৃহঃবার সকালে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মেলা উদ্বোধনী পরবর্তী পরিষদ অডিটোরিয়ামে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কার্যক্রম মাঠে পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সার্বিক দিক নিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)) শানজীদা মুস্তারী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ মন্তব্য করে প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ” বার্ধক্যকালে আর অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকতে হবে না। বর্তমানে সরকার সকলকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করেছেন। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে পেনশন স্কিম রয়েছে স্ব স্ব উদ্যোগে সকলকে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানান তিনি। উল্লেখ্য, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন।

তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশের অধিক নাগরিকগণ ও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন জমা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় যেমন প্রবাস, সুরক্ষা, প্রগতি ও সমতা ক্যাটাগরিতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। যার নামে পেনশন স্কিম খোলা হবে সে তার জীবদ্দশায় এই পেনশন গ্রহণ করবেন। তবে তার অবর্তমানে তার নমিনি পেনশন স্কিম হোল্ডারের সমুদয় টাকা নির্ধারিত সুদ সমেদ এককালীন ফেরত পাবেন।”

বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী,চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল, পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওসি তদন্ত আব্দুল মজিদ মন্ডল,বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ,ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগন,বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। পেনশন মেলায় পেনশন স্কিম নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে সহযোগীতা ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ১২ টি ইউনিয়নের ১২ টি, পৌরসভার ১ টি ,সোনালী ব্যাংক ও আরচেস কাজিপুরসহ মোট ১৫ টি স্টল রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com