আজ মহাষ্টমী, রাজশাহীতে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপন

বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১ | ৫:৫১ অপরাহ্ণ

আজ মহাষ্টমী, রাজশাহীতে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপন
apps

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী আজ অষ্টমীর দিনে মূল আর্কষন কুমারী পূজা। দুর্গোৎসবের এই দিনে রাজশাহী মহানগরীতে পালিত হয়েছে কুমারী পূজা। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব।

তাই উৎসবের শুরু থেকেই মহানগরীর পূজা মন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। ভক্ত ও পূজারিদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা। এবছর কুমারী পূজায় দেবীর আসনে বসানো হয়েছে নগরীর সাগরপাড়া এলাকার ইন্দুপ্রভা দাস তিতলিকে।

তার মায়ের নাম ছন্দা সরকার ও বাবা স্বগত দাস। পূজা শুরুর আগে তাকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে নানা অলঙ্কার  ও ফুলের মালা দিয়ে নিপুণভাবে সাজিয়ে দেবীর আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। এর আগে মন্ত্রোচ্চারণ, ফুল ও বেলপাতার আশীর্বাদ পৌঁছে দেয়া হয় ভক্তদের কাছে।

এরপর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভক্তদের উলুধ্বনি আর ধর্মপ্রাণ মানুষের বিনম্র  শ্রদ্ধায় সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা। হিন্দুধর্ম মতে, দেবী মাতৃরুপে ভক্তদের মধ্যে আর্বিভুত হন। তিনি যেমন দুষ্টের দমন করেন, তেমনি মাতৃরুপে ভক্তের পালনও করেন। সেই ধারণাকে ধারণ করে কুমারী পূজার আবির্ভাব।

কুমারী পূজায় সাত থেকে নয় বছরের কুমারীকে দেবী হিসেবে কল্পনা করে পূজা করা হয়। ভক্তরা তার মাঝে খুঁজে পান দেবীরুপী মাকে পূজা শেষে সবার মঙ্গল কামনা এবং পাপমুক্তির জন্য ভক্তরা দেবীর পায়ে শ্রদ্ধা জানান ফুল ও বেলপাতা নিবেদন করে। বিভিন্ন মন্দিরে অঞ্জলী শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় আছে সন্ধিপূজাও। সন্ধিপূজা হলো মা দুর্গার কাছে অসুর বাহিনীর আত্মসমর্পণ।

উল্লেখ্য, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মাঠে ৯ কুমারীকে পূজা করেন তখন থেকে প্রতিবছর দূর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে মহা ধুমধামে কুমারী পূজা প্রথা চলে আসছে।

Development by: webnewsdesign.com