সর্বগ্রাসী আগুনে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা ও ভয়াবহ খরায় দেশটিতে সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ৩০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। মাইলের পর মাইল বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে, পুড়ে গেছে প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি। ইচ্ছেকৃত আগুন লাগানোর দায়ে শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরইমধ্যে গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) থেকে এক সপ্তাহে দেশটিতে গুলি করে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি উট হত্যা করা হয়েছে।
সরকার দাবানলে কিছু কিছু শহর পানি শূন্য হয়ে পড়ায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ১০ হাজার উটকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে হেলিকপ্টার থেকে পেশাদার শ্যুটার দিয়ে ৫ হাজার উটকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, গত ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা দাবানলে বহু প্রাণী মারা গেছে। উট হত্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বন্য উট বেশি পরিমাণে পানি পান করে। তাই লোকজন পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য উটের ফাঁপা পেটকে দায়ী করছে স্থানীয় আদিবাসীরা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী নেতারা বলছেন, ‘উটগুলো শহর ও ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। এইসব উটের মলমূত্র থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ মিথেন গ্যাস বের হন তা ১ টন কার্বনডাই অক্সাইডের সমপরিমাণ প্রায়। এছাড়াও উটের দল পানির জন্য বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে, ফসল নষ্ট করছে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ অধিদফতর বলছে, ঐতিহ্যগতভাবেই স্থানীয় আদিবাসীরা এসব পালন করে বিক্রি করে। তাদের জীবিকা নির্বাহের বড় মাধ্যম এই উট পালন। তবে দাবানলে উটের বাড়তি পানির চাহিদার কারণে মানুষের জন্য পানির সংকট তৈরি হচ্ছে। পানির অভাবে অনেক উট এমনিতেই মারা যাচ্ছে।
১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ায় উট আনা হয়। বর্তমানে দেশটির মরু অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি উট রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com