মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:৩১ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
apps

মৌলভীবাজার জেলায় শীত ও কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগও। শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি। সম্প্রতি কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতজনতি কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ছিল ঘন কুশায়ায় আচ্ছন্ন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ছে।
চিকিৎসকরা জানান, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে এ জেলার মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে শহরের অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়।

শ্রীমঙ্গলের সাধারণ ব্যবসায়ী আনা মিয়া ও জসিম উদ্দিন জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোয়েটার ও জ্যাকেটসহ বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্র বিক্রি বাড়ছে। সব শ্রেণির মানুষই তাদের ক্রেতা।

তারা আরও জানান, মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকজনই এখান থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই চা শ্রমিক। শীত যত বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও তত বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকালে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সৌমিত্র সিংহ বলেন, ‘শিশু ও বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত মোট ৩০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’

মৌলভীবাজার জেলার দুর্যোগ ও ত্রাণ পুর্নাবাসন কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ৪১ হাজার ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও দুই হাজার বরাদ্দ আসছে। সেগুলো ২/৪ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসছে। সেখান থেকে দুই লাখ টাকার শিশু পোষাক কেনা হবে। বাকি টাকা দিয়ে শীতবস্ত্র (কম্বল) কিনে বিতরণ করা হবে।’

Development by: webnewsdesign.com