সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর উত্তোলনের সময় ৫দিনের ব্যবধানে আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া (২৩)। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৩ জন পাথর শ্রমিক। তারা হলেন আবু তাহের, শাহিন ও পাবেল। তাদের সবার বাড়ী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দৌলরা গ্রামে। এ ঘটনায় সাথে সাথে জেলা ডিবি পুলিশের অভিনানে গর্তের ম্যানেজার সুনামগঞ্জের আবুল খয়েরের ছেলে আব্দুস সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তবে গর্তের মালিক পক্ষের কাউকে আটক করা হয়নি।
সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম আব্দুস সাত্তারকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্ট চলছে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় শাহ আরেফিন টিলায় আইয়ুব আলী মালিকানাধীন পাথরের গর্তে পাথর উত্তোলনের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ পাথরের গর্তের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে লিটন মিয়া মারা যান। গুরতর আহত হন আবু তাহের, শাহিন ও পাবেল নামের ৩ শ্রমিক। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কোয়ারী মালিক পক্ষের লোকজন নিজের দায়ভার অন্যের কাধে চড়াতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সূত্রে জানা যায় কোয়ারী মালিক আইয়ুব আলী নিহতের ঘটনাটি অন্যের কাধে চড়াতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গোপনে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com