ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সংঘাতপূর্ণ টাইগ্রে অঞ্চলে আটকে আছেন ১০৪ জন পোশাক শ্রমিক। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সরকারের সহায়তা চেয়েছে নিয়োগকারী কোম্পানি ডিবিএল গ্রুপ।
গণমাধ্যমকে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেছেন, ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র কারখানা চত্বরে এরই মধ্যে বোমা মারা হয়েছে। এখন ওই অঞ্চল থেকে বাংলাদেশি পোশাককর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা এখন নিরাপদে আছে। বিরোধপূর্ণ অঞ্চল থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি। ট্রাইগ্রের পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল এবং সহিংসতা যেকোনো সময় আরও বাড়তে পারে। ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে মনোনীত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে দূতাবাস। আমরা ইথিওপিয়ায় আটকে পড়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছি। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব কর্মীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
এদিকে ইথিওপিয়া সরকার বলছে, ক্ষমতাসীন দলের অনুগত বাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে থেকে প্রতিবেশী আমহারা অঞ্চলে গোলা নিক্ষেপ করছে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ার অস্থির টাইগ্রে অঞ্চলে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে এতে সেখানে কয়েক শত মানুষ মারা গেছেন। ইরিত্রিয়া এবং সুদান সীমান্তের মধ্যবর্তী অঞ্চলে এর অবস্থান হওয়ায় সেখানে একটি নতুন গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটা হবে আফ্রিকার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ। ২০১৮ সাল থেকেই সেখানে শত শত মানুষ মারা গিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com