১০ থেকে ৫০ মিটার দূর থেকে মানুষের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের গন্ধ আর ঘামের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিকের গন্ধ পায় মশা। গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে এসে মানুষের কাছে হাজির হয় ৫ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে। ২০ সেন্টিমিটারের মধ্যে চলে এলে মশা মানুষের শরীরের তাপ আর আর্দ্রতার ব্যাপারে জানতে পারে। আর তারপরই কামড় দেয়।
এবার মশাকে ভালো মশায় পরিণত করার পথে হেঁটেছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ স্কট ও’নিল। তিনি একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ওয়াবাকিয়া তৈরি করেছেন। এটি কোনো ব্যাকটেরিয়া নয়; কিন্তু তাদের এই গুণপনার কথা জানা ছিল না।
এদিকে মৌমাছি, প্রজাপতি এবং কয়েক ধরনের মশার শরীরে ওয়াবাকিয়া ছিলই এবং বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে আসছে। যে সমস্ত মশার শরীরে ওয়াবাকিয়া আছে, তারা মানুষকে কামড়ালেও রোগ সংক্রমণের কোনো ভয় থাকে না।
স্কট ও’নিল দেখেলেন, এডিস মশার শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া নেই; আর তাই তারা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ সংক্রামিত করে। যদি এডিসের শরীরে ওয়াবাকিয়া প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি ভয়ঙ্কর রোগের জীবাণুর সঙ্গে ওয়াবাকিয়ার ধুন্ধুমার লড়াই শুরু হয়; তাতে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়; ফলে বন্ধ হয় রোগ ছড়ানোও।
মশার শরীরে ওয়াবাকিয়া প্রবেশ করিয়ে দিলে মশাদের জিনগত কোনো পরিবর্তন হয় না, কিন্তু তারা ভালো মশায় পরিণত হয়।
Development by: webnewsdesign.com