নিষেধাজ্ঞার পরও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে পাথর তোলা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর তুলতে গিয়ে একের পর এক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তাই প্রশাসনের নির্দেশে পাথর কোয়ারি ছাড়ছেন শ্রমিকরা।
এদিকে পাথরের গর্তে চাপা পড়ে অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও দাপট কমছে না পাথরখেকোদের। তবে এবার শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তায় অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে কালাইরাগ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাথরের গর্তে কাজ করা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় প্রায় ১২শ’ শ্রমিকের ৫৫টি তাঁবু ভেঙে থালা-বাসনসহ বাড়িতে পাঠানো হয়।
এর আগে ১৫ দিনের ব্যবধানে পাথরের গর্তে মাটিচাপা পড়ে চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার অভিযান শুরু করে টাস্কফোর্স। এ সময় ২১টি পাথর কোয়ারি ও প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। অন্যদিকে থানা পুলিশ মঙ্গলবার মাইকিং করে পাথর তোলা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য্য জানান, ভোলাগঞ্জের কালাইরাগ এলাকায় বুধবার দুপুর থেকে অভিযান চালানো হয়। এখানে ৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে থাকা প্রায় ১২শ’ শ্রমিককে নিজ বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাঁবুগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পাথর শ্রমিকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে দুইদিন ধরে এ এলাকায় পাথর তোলা বন্ধ রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com