বসে আছে রাজশাহী জেলে

পদ্মায় দেদার ইলিশ ধরছে ভারতীয় জেলেরা

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৬:০৩ অপরাহ্ণ

পদ্মায় দেদার ইলিশ ধরছে ভারতীয় জেলেরা
apps

মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা ও বড়াল নদীতে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও বেচাকেনায় স্থানীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য মেনে চললেও ভারতীয় জেলেরা অবাধে নিধন করেই চলেছে ইলিশ। প্রশাসন দায়সারাভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা প্রচার করলেও নদীতে নেই কার্যকর অভিযান। ফলে বেপরোয়া ভাবে পদ্মায় চলছে মা ইলিশ নিধন।

চারঘাট উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার এ নদীতে স্থানীয় দেশীয় জেলেরা সরকারি নির্দেশনা মেনে মাছ আহরণ থেকে বিরত রয়েছে। তবে ভারতীয় জেলেরা নির্বিঘেœ ইলিশ মাছ শিকার করে চলেছে। এর ফলে পদ্মায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

সরেজমিনে শনিবার (২৬ অক্টোবর) দেখা যায়, উপজেলার ইউসুফপুর, থানাপাড়া, গোপালপুর, চন্দনশহর, পিরোজপুর, রাওথা-সংলগ্ন পদ্মানদীতে ছোট ছোট নৌকা ব্যবহার করে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ভারতীয় জেলেরা তাদের সীমানায় মাছ শিকার করছে। বাংলাদেশ সীমানায় মাছ আহরণ বন্ধে মৎস্য অধিদপ্তরের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করলেও ব্যবস্থা নিতে পারছে না ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে। ফলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সেইভাবে সফল হচ্ছে না।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকায় উপজেলার নদীতীরের জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কার্ডধারী প্রায় ৫৭০ জন জেলেকে ভিজিএফ সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লাহ মোল্লাহ বলেন, সরকারি নিষেধাক্ষা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, প্রশাসন, নৌপুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। কয়েক দিনের অভিযানে প্রায় ১৬ হাজার কারেন্ট জাল ও ৬শ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা গেলে মাছের উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশা করেন। মা ইলিশ রক্ষায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের জেলেদের এসময় নিরুৎসাহিত করতে পারলে পদ্মায় ইলিশ মাছের উৎপাদন, গুণগত মান বৃদ্ধি ও বড় আকারের ইলিশ মাছ উৎপাদন হবে বলে জানান মৎস্য এই কর্মকর্তা।

Development by: webnewsdesign.com