বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞর গবেষণায় জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডেঙ্গুর মশা তাড়াতে আমরা নিয়মিত যে মশার কয়েল ব্যবহার করি; তা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি। আরও বড় হুমকি নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যর জন্য। তা মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরজ বাচ্চার জন্মহার বেড়ে গেছে। গত শনিবার বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার উদ্যোগে এ নিয়ে সেমিনার হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন জানায়, গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেছেন, অননুমোদিত মাত্রার বিষাক্ত রাসায়ানিক ব্যবহার করে তৈরি করা মশার কয়েল প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এসব কয়েলের ধোঁয়া মশা মারছে ঠিকই, কিন্তু তা মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরজ বাচ্চার জন্মহার বেড়ে গেছে।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. পূরবী বলেন, এসব কয়েলের ধোঁয়া চোখে কম দেখা, মাথাব্যাথাসহ নানা সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। মশা নানা রোগের কারণ মন্তব্য করে তিনি সিটি করপোরেশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ”দয়া করে মশা মারতে পানি ছিটাবেন না, ওষুধ ছিটান।”
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাব’র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক. ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক, র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, এসিআই লি. এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com