পুলিশকে জনগণের সেবক। এটা জাতির পিতা বলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা রাজারবাগে দেওয়া বক্তব্যে বলেছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ জাতির পিতা পুলিশ বাহিনীর অনেক প্রশংসা করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,। আজ ৫ জানুয়ারি, রবিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও পোড়াওয়ের সময় পুলিশ বাহিনী তাদের জীবনবাজী রেখে দেশের মানুষ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করায় পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে আমরা জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দূর করবো এবং তাই সরকার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিভিন্ন বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এই বিনিয়োগ যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানানো হয়। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এবারের পুলিশ সপ্তাহে প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডেও অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবারে ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আজ থেকে শুরু হওয়া পুলিশ সপ্তাহ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ মূল প্রতিপাদ্য ধারণ করে এবারের পুলিশ সপ্তাহে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি ।
Development by: webnewsdesign.com