থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রশাসনের বিশেষ নজরধারি থাকবে

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৪:০৯ অপরাহ্ণ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রশাসনের বিশেষ নজরধারি থাকবে
apps

থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারা নিরাপত্তাবলয়ে থাকছে। নাশকতাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র‌্যাব, গোয়েন্দাসহ প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাতের বেলায় খোলামেলা কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। তা ছাড়া বিকাল ৫টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানীর সব মদের বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবশ্যই বারের মালিকদের বার বন্ধ রাখার জন্য সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আসন্ন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই। পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্মিত কার্যালয় ও ওয়েব্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসেই বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্টের মতো দুটি বড় ইভেন্ট রয়েছে। আমরা সম্ভাব্য সবদিক মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছি। যেন সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা বসে নেই। তারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন জঙ্গি হামলা হয়, তখন আমাদের দেশেও জঙ্গিরা হামলা করতে চেয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com