রাজধানীর পল্লবী থেকে ১৩ প্রতারক গ্রেফতার

বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২ | ৮:০০ অপরাহ্ণ

রাজধানীর পল্লবী থেকে ১৩ প্রতারক গ্রেফতার
apps

সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী/বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব কৌশলে চাকুরীতে নিয়োগের বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন- সাক্ষাৎকার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিয়োগপত্র, প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি সম্পন্ন করে গ্রামের সহজ সরল চাকুরী প্রত্যাশি যুবাদের কাছ থেকে প্রতারনা পূর্বক লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানসহ র‌্যাব-২ এ অভিযোগ করার প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ০৪ জন ভুক্তভোগী উক্ত বিষয়ে পল্লবী থানায় পৃথক পৃথক ০৪টি মামলা দায়ের করেন। বর্ণিত ঘটনাসমূহের গুরুত্ব বিবেচনা পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-২ এর গোয়েন্দা দল বিষয়টি আমলে নিয়ে উক্ত বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। জানা যায় যে, রাজধানীর মিরপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় প্রতারক চক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে গ্রামের নিরিহ লোকদের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুুলিশসহ অন্যান্য সরকারী এবং বেসরকারী অফিসে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল অদ্য ১৬মার্চ ২০২২ তারিখ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত প্রতারক চক্রটির অন্যতম দুই জন মূলহোতাসহ সর্বমোট ১৩ জন সক্রিয় সদস্য যথাক্রমে ১। মোঃ শামীম হোসেন(৪২), পিতা-মৃত নজরুল ইসলাম, মাতা-জাহানারা বেগম, সাং-দ্বিতীয় মুরাদনগর, হাউজিং স্টেড, থানা-কুমিল্লা সদর, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে-মিরপুর-১০, ফকির বাড়ীর পাশে, তারেক সাহেবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-মিরপুর মডেল, ঢাকা, ২। রেবেকা সুলতানা (৪২), পিতা-মৃত মোঃ খোরশেদ আলম, মাতা মোছাঃ নুর জাহান , স্বামী-মোঃ ফজলুর রহমান, সাং-কালামপুর, থানা-ধামরায়, জেলা-ঢাকা, বর্তমানে-স্টান হাউজিং, ব্লক-এফ, থানা-রুপনগর, ঢাকা, ৩। মোঃ ওমর ফারুক(৩২), পিতা-জয়নাল আবেদীন, মাতা-সালেহা, সাং-সরদার পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা- দিনাজপুর, ৪। মোঃ শহিদুল ইসলাম(৪৬), পিতা- তাজর উদ্দিন, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম, সাং-খেড়কাঠি, থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুর, ৫। মোঃ ইমরান(২৮), পিতা- মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার, মাতা- মানসুরা বেগম, সাং- আমিনপুর, থানা- মতলব, জেলা- চাঁদপুর বর্তমানে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গ্যারিসন, ঢাকা, ৬। মোঃ শরীফুল ইসলাম(৪৮), পিতা-মোঃ আলাউদ্দিন ইসলাম, মাতা-সবেদা বেগম, সাং-খোরশেদপুর, থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা, বর্তমানে-মিরপুর, সেকশন-২, শিয়াল বাড়ী, রোড নং-২, থানা-রুপনগর, ঢাকা, ৭। আল আমিন (৪১), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, মাতা-রুবি আক্তার, সাং- বাসা নং-৮, এভিনিউ-২, ব্লক-জি, সেকশন-২, থানা-মিরপুর মডেল, ঢাকা, ৮। কাজী হাবিব(৩৪), পিতা-মোশারফ কাজী, মাতা-আকলিমা বেগম, সাং-জুনাশপুর, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ, বর্তমানে-মিরপুর, সেকশন-৭, রোড নং-৪, থানা-পল্লবী, ঢাকা, ৯। মোঃ মাহাবুবুর রহমান@সরোয়ার(৪২), পিতা-মৃত আহম্মেদ আলী, মাতা-মাজেদা খাতুন, সাং-জগতলা, থানা-শহজাতপুর, জেলা-শিরাজগঞ্জ, বর্তমানে-হোল্ডি নং-৪, রোড নং-৫, ব্লক-সি, থানা-পল্লবী, ঢাকা, ১০। মোঃ রুবেল শেখ(৪৫), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-রিজিয়া বেগম, সাং-কাটাখালী বারই, থানা-সদর, জেলা-বাগেরহাট, বর্তমানে-স্টান হাউজিং তালতলা, রোড নং-১, থানা-রুপনগর, ঢাকা ১১। আব্দুল মতিন(৪৫), পিতা-আব্দুল মুমিন মতিন, মাতা-মৃত সুবাতুন্নেছা, সাং-গোপালপুর, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর, বর্তমানে-মিরপুর সেকশন-৭, রোড নং-৩, আনসার আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-পল্লবী, ঢাকা, ১২। মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া (৩৬), পিতা-মৃত আজাহার ভূইয়া, মাতা-হালিমা বেগম, সাং-ফুলির ছেড়ি, থানা-আগলঝাড়া, জেলা-বরিশাল, বর্তমানে-স্টান হাউজিং, থানা-রুপনগর, ঢাকা,১৩। মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকা(৫০), পিতা-মৃত খলিলুর রহমান, মাতা-সাহেরা বানু, সাং-কালিতলা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-দিনাজপুর’দেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত অভিযানে ভুয়া নিয়োগপত্র ০৩টি, অফিস আদেশ ০৩টি, আবেদন ফরম ০৩টি, বিভিন্ন ব্যাংক এর চেক০৪টি, চেকের ফটোকপি ০৩টি, ১০০ টাকার খালি ও স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ০৮টি, জীবন বৃত্তান্ত ০৮ সেট,একমাত্র রাষ্ট্রীয় কার্যে ব্যবহার্য লেখা খাম ০২টি, নগদ ৮৪,৪০০/- (চুরাশি হাজার চারশত) টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন লোকের পাসপোর্ট/ই-ভিসার ছবি, ২২টি মোবাইল ফোন ইত্যাদিসহ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন প্রতারনামূলক কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

গ্রেফতার পরবর্তী প্রাথমিকজিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহঃ
গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর পল্লবীতে অফিস স্থাপন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা হতে চাকুরী প্রত্যাশি যুবকদের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিয়োগের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। প্রতারক চক্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০-৫০ জন যার বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে।

তারা মোট তিনটি ধাপে তাদের প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যেত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতারক চক্রের প্রাথমিক স্তরের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমদের প্রলুব্ধ করতো। গ্রামের সহজ সরল চাকুরী প্রত্যাশি যুবকরা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে সরকারী চাকুরীর স্বপ্নে বিভোর হয়ে জমিজমা বিক্রয়, ধার কর্জ ইত্যাদি সম্ভাব্য সকল উপায়ে টাকা পয়সা জোগাড়করত এবং চক্রের প্রাথমিক স্তরের সদস্য তাদের ঢাকায় নিয়ে আসত।

ঢাকায় নিয়ে আসার পর প্রতারক চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব নিত। প্রতারক চক্রটির দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা ভিকটিমদের চাকুরী যে আসলেই সরকারী সেই বিশ্বাস অর্জনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের আয়োজন করতো এবং ভিকটিমরা উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া অতিক্রম করার পর তাদের নিয়োগপত্রসহ আনুসাঙ্গিক নথিপত্র সরবরাহ করত। যেমন- প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি আয়োজন করা। বিশেষ কিছু চাকুরীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তরের কয়েকজন সদস্য সুনির্দিষ্ট কিছু ভুমিকা পালন করত। যেমন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘মেস ওয়েটার’ পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাদের একজন নিজেকে সিনিয়র মেস ওয়েটার হিসেবে পরিচয় দিতো এবং কৌশলে সেনানিবাসের আশেপাশে বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি সেন্টারে দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে ভিকটিমদের কাজ করিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে বলা হত।

তৃতীয় স্তরের সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অথবা ক্ষেত্র বিশেষে উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তার নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভিকটিমদের বিশ্বাস জোরদার করতে কাজ করত। তারা সরকারী/বেসরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ বিভিন্ন পরিচয় ধারণ করে ভিকটিমদের নিয়োগ পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ আনুসাঙ্গিক সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করত। ক্ষেত্র বিশেষে তারা ভিকটিমদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আদলে সহকারীসহ মাইক্রোযোগে নির্ধারিত স্থানে যেয়ে ভিকটিমদের সাথে দেখা করতো এবং নিজেকে বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে ও তার সুপারিশেই ভিকটিমদের চাকুরী নিশ্চিত হচ্ছে মর্মে ভিকটিমদের আশস্ত করত।

ভিকটিমদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মূল কাজটি করতো প্রতারক চক্রের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা এবং ভিকটিমদের বিশ্বাস অর্জনসহ সবগুলো স্তরের সাথে সমন্বয় করতঃ কাজ অনুযায়ী কমিশন বন্টনের দায়িত্ব পালন করতো প্রতারক চক্রটির তৃতীয় স্তরের সদস্যরা। তারা ভুয়া/জাল নিয়োগপত্রসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সৃজন করে প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো দ্বিতীয় স্তরের সদস্যদের নিকট সরবরাহ করতো।

প্রাথমিক তদন্তকালে আরো জানা গেছে যে, প্রতারক চক্রটির প্রাথমিক স্তরের ২০-২৫ জন সদস্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে ও বিভিন্ন প্রলোভনে চাকুরী প্রত্যাশিদের ফাঁদে ফেলতে কাজ করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় স্তরে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে এবং তৃতীয় স্তরে ৫-৬ জনসহ ৪০-৫০ জনের এই প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত অভিনব বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এড়িয়ে তাদের প্রতারনামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। উল্লেখ্য যে, নিয়োগ প্রতারনা ছাড়াও প্রতারক চক্রটি বিপন্ন প্রাণী তক্ষক, প্রাচীন মুদ্রা, স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার, সাপের মনি, মানব পাচার ইত্যাদি বিষয়েও নিরিহ লোকজনদের প্রতারিত করছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের কার্যক্রম নিম্নরুপঃ

মোঃ শামীম হোসেন@সোহেল রানা(৪২) বর্ণিত প্রতারক চক্রটির অন্যতম সমন্বয়কারী ও মূলহোতা। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের বড় অফিসারের পরিচয় দেয় এবং প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সাথে সমন্বয় করে।

রেবেকা সুলতানা বর্ণিত প্রতারক চক্রটির অন্যতম মূলহোতা ও তৃতীয় স্তরের একজন অন্যতম সদস্য। রেবেকা সুলতানা(৪২) পল্লবীতে অবস্থিত প্রতারক চক্রটির মূল অফিসের কর্ণধার, তিনি অফিস প্রধান হিসাবে অফিস পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতারণা সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র লেনদেন করতো।

শাহ ওমর ফারুক বর্ণিত চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্য। সে ক্ষেত্র বিশেষে নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তার নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতো এবং শামীম@সোহেল ও রেবেকার সাথে মিলে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো।

প্রতারক চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম। বৃহত্তর রংপুর এলাকায় শহিদুলের শক্ত কার্যকর একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সে অবৈধ ও ভুয়া চাকুরীর জন্য লোক সংগ্রহ করতো ও গ্রামের নিরিহ লোকদের কাছ থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসতো এবং চাকুরী প্রত্যাশি যুবকদের কাছ থেকে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো।

চক্রটির দ্বিতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মোঃ ইমরান। সে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম থেকে নিয়ে আসা ছেলেদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে দিতো। দালালের প্রতারনা চক্রে পরা এসকল ছেলেদের সে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে পার্ট টাইম মেস ওয়েটারের কাজে লাগাতো। ভুয়া ট্রেনিং এর বিনিময়ে সে জনপ্রতি মোটা অংকের টাকার ভাগ পেত।

প্রতারক চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম ও আল আমিন অবৈধ ও ভুয়া চাকুরীর জন্য লোক সংগ্রহ করতো এবং শামীম@সোহেল ও রেবেকার সাথে মিলে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো।

প্রতারক চক্রের তৃতীয় স্তরের সদস্য কাজী হাবিব, মোঃ মাহবুবুর রহমান, রুবেল শেখ, আব্দুল মতিন, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া ও মোঃ রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন প্রলোভনে অবৈধ ও ভুয়া চাকুরীর জন্য লোক সংগ্রহ করতো।

গ্রেফতারকৃত সকল আসামীদের বিরুদ্ধে প্রতারনার শিকার ভিকটিমরা পল্লবী থানায় পৃথক পৃথক ০৪টি মামলা দায়ের করেছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়াল ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, ধর্ষণ, অপহরণ, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Development by: webnewsdesign.com