সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পাচারের সময়ে তিন নারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এসময় ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি রেস্টুরেন্টের পাশের সড়কে এই অভিযান চালায় র্যাব-১ এর একটি দল। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আজিজুল হক (৫৬), মোছলেম উদ্দিন ওরফে রফিক (৫০) ও মো. কাউছার (৪৫)। র্যাব বলছে, পাচারকারী চক্রটি কিশোরী ও তরুণীদের টার্গেট করে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। মূলত পাচারের পর তাদের বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে দেওয়া হত।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, এই চক্রটি কম বয়সী মেয়েদের টার্গেট করত। এরপর বিভিন্ন কোম্পানী ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশে যেতে প্রলুব্ধ করত।
তিনি বলেন, এই চক্রটি অন্তত ৮০ জন নারীকে এভাবে বিদেশ পাচার করেছে। র্যাব এই দুর্ভাগা নারীদের উদ্ধারে এবং অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরা নারী ছাড়াও বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েও আত্মসাৎ করেছে।
র্যাব জানায়, এই চক্রের হোতা মো. মহিউদ্দিন ও মোছা. শিল্পী বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছেন। তাদের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে কম বয়সী মেয়েদের পাচার করা হচ্ছিল। এছাড়াও একই চক্রের অন্যতম দেশীয় হোতা পলাতক নূর নবী ওরফে রানা ও মনজুর হোসেন।
গ্রেপ্তার আজিজুল হক মানব পাচারকারী চক্রটির অন্যতম সমন্বয়ক। পলাতক আসামি তাহমিনা বেগম এবং গ্রেপ্তার আসামি রফিক ও কাউছার কমবয়সী সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করতেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় র্যাব।
Development by: webnewsdesign.com