নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবছরই বাড়ছে সূর্যমূখী ফুলের চাষ। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এতে ঝুঁকছেন। এ বছরও ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সূর্যমুখীর বাগানে আসছেন সৌন্দর্যপিপাসুরা। এবছর পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে একটি করে ফুল আসে। বীজ বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে প্রায় তিনমাস সময় লাগে। হেক্টর প্রতি ১.৫ টন পর্যন্ত ফলন হয়। এ বছর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে, তন্মধ্যে ৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর বীজ সরকারি ভাবে দেওয়া হয়েছে । ৩ মাসেই তা পরিপক্ব হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ বপণ করে ৮ /৯ মন ফলন পাওয়া যায়। সরিষা চাষ থেকেও খরচ কম ও ফলন বেশি এবং লাভ জনক। ৪/৫ কেজি বীজ দিয়ে ১ কেজি তেল পাওয়া যায়, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮০০/১০০০ টাকা কমবেশি হয়ে থাকে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা মোয়াজ্জমে হোসনে জানান, সূর্যমুখী চাষ করে শুরু থেকেই সফলতার মুখ দেখছেন রূপগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। যদি কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে তারা সূর্যমুখী চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন।
উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন এর মাহনা এলাকার কৃষক মো. আকবর মিয়া বলেন, ‘গত দুইবছর ধরে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছি। এবারও ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছি। আমার সূর্যমুখী ফসলি জমিতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে, দেখতে অনেক ভালো লাগে। জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে গত বছরের চেয়ে এবার বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।’
উপজেলার সূর্যমুখী ফুল চাষী ইউসুফ বলেন, ‘নদীর চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার ৪ বিঘা জমিতে এবার সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছি।’
উপজেলার হাটাব গ্রামের আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আগে ধান, গম ও ভুট্টার চাষ করতাম। খুব একটা লাভ হয়নি। গত ৫ বছর ধরে ফুল চাষ করছি। ধান গমের তুলনায় এতে বেশি লাভ হয়। আগামীতেও ফুলের চাষ করব আশা করছি। সূর্যমুখী ফুলের খুব চাহিদা, ফলনও ভালো হয়।’
উপজেলা কৃষি অফিসার কায়ছুন নাহার হাওলাদার জানান, ভালো ফলন হওয়ায় ধীরে ধীরে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। অধিকাংশ জমিতে এখন পরিপক্ব ফুল। সূর্যমুখী চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিনামূল্যে ইন্ডিয়ান আর ডি এস হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুল বাতেন জানান, সূর্যমূখির তেল মানুষের শরীরের ডায়েবেটিক ও হৃদরোগের প্রতিসেধোকের কাজ করে থাকে।সূর্যমুখীর কোন কিছুই ফেলনা নয়, বীজ থেকে তেল, এরপর মাছ ও পশুখাদ্যের জন্য খৈল, কাচাঁ গাছ, গো খাদ্য ও গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সূর্যমুখী ফুল দেখতে শুধু রূপময়ই নয়, গুনেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ। অন্যান্য তেলের মধ্যে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান ( কোলেস্টেরল) থাকে। সূর্যমুখি তেলে তা নেই। পুষ্টিগুনেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজ খেতে খুব সুস্বাদু। এটা হয়তো আমারা অনেকে জানিই না তেমন টা-ই জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসি সেলিম মিয়া, তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখীর বীজ সৌদিতে জনপ্রিয় একটি খাবার, সেখানে প্রায় ৯৯% লোকে এটা খায়। বড় বড় সুপার শপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানে পাওয়া যায়। সৌদিতে সূর্যমুখী বীজকে (আরবি ভাষায়( হাব ) বলা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কায়ছুন নাহার হাওলাদার জানান, বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের ফলন ভালো হওয়ায় ধীরে ধীরে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। অধিকাংশ জমিতে এখন পরিপক্ব ফুল। সূর্যমুখী চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিনামূল্যে ইন্ডিয়ান আর ডি এস হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুল বাতেন জানান, সূর্যমূখীর তেল মানুষের শরীরের ডায়েবেটিক ও হৃদরোগের প্রতিসেধোকের কাজ করে থাকে। সূর্যমুখীর কোন কিছুই ফেলনা নয়, বীজ থেকে তেল, এরপর মাছ ও পশুখাদ্যের জন্য খৈল, কাচাঁ গাছ, গো খাদ্য ও গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সূর্যমুখী ফুল দেখতে শুধু রূপময়ই নয়, গুনেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ। অন্যান্য তেলের মধ্যে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান ( কোলেস্টেরল) থাকে। সূর্যমুখি তেলে তা নেই। পুষ্টিগুনেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজ খেতে খুব সুস্বাদু। এটা হয়তো আমারা অনেকে জানিই না তেমন টা-ই জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসি সেলিম মিয়া, তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখীর বীজ সৌদিতে জনপ্রিয় একটি খাবার, সেখানে প্রায় ৯৯% লোকে এটা খায়। বড় বড় সুপার শপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানে পাওয়া যায়। সৌদিতে সূর্যমুখী বীজকে ( আরবি ভাষায় হাব ) বলা হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, ‘এ জেলার জমি সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযোগী। এবছর সূর্যমুখী ফুলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২৬৪ হেক্টরে। কৃষক এবার ভালো ফলনের আশা করছেন। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে হাঁস মুরগির খাবার পাওয়া যায়, পাশাপাশি তেলের উৎস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এতে থাকা লিনোলিক এসিড হৃদপি-কে ভালো রাখে। সূর্যমুখী ফুলের বাগান যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সে জন্য উদ্যোক্তাদের কৃষি বিভাগ থেকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com