টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ হতে, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আরো ৬ নেতা-কর্মী বহিস্কৃত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে এ বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, বহিস্কৃত আওয়মীলীগের নেতা-কর্মী দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা সহ ভিন্নমতের প্রার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
বর্তমান বহিষ্কৃতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বাবর আল মামুন, ৬ নং মামুদনগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, ধুবড়িয়া ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফুলচান মিয়া, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হায়দার আলী মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মো. আরিফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের লীগের সদস্য মীর মোয়াজ্জেম হোসেন।
দলীয় শৃখলা ভঙ্গ করায়, কেন্দ্রের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত ও গঠণতন্ত্রের ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ উক্ত পদ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে বহিস্কার সহ অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়।
গত ১০-০১-২২, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও সাধারন সম্পাদক মো, কুদরত আলী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে তাদেরকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার ও অব্যাহতি প্রদান করেন। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও সাধারন সম্পাদক মো, কুদরত আলী জানান, আমরা ইউনিয়ন পর্যায় হতে যে সকল নেতৃবৃন্দের নাম তালিকা পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায়, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতবেক উপজেলা আওয়মীলীগ সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ বহিষ্কারাদেশ চলমান রয়েছে, অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যাচাই পূর্বক, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে দল হতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। দলের স্বার্থে দলের ব্যানারে কোন অপশক্তি বা বিরোধীদের দলে ঠাঁই নেই। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ হতে মোট ৫৯ জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com