জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ছাড়া অন্য কেউ জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না বলে আদেশ জারি করেছে জাতীয় পার্টি। এই আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টিতে অন্য কারও বক্তব্য জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারণী বক্তব্য বলে বিবেচিত হবে না। রোববার বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারণী বিষয়ে দলীয় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বাইরে কেউ বক্তব্য দিলে তা তার ব্যক্তিগত অভিমত ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি বলে বিবেচিত হবে।’
এর আগে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ বিষয়ে ফের নতুন নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় পার্টি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন।
সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত ধরে জন্ম নেওয়া জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যানের একনায়কতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বারবার। জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে এরশাদের জীবদ্দশাতেই।
দলের সংবিধানের ১৯ (ক) ধারায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করা হয়েছে। এরশাদের মৃত্যুর পর এই ধারাটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় জাতীয় পার্টিতে। নবম জাতীয় কাউন্সিলের আগে এই ধারাটি সংশোধন করা হবে বলে জি এম কাদের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। দলের চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে ভাবি রওশন এরশাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বও বাংলাদেশের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে। বিতর্কের মুখে পড়ে জাতীয় পার্টি।
Development by: webnewsdesign.com