নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টায় তার গাড়ী লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপরদিকে মেয়রের অনুগত ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল কলির বাড়ীতে অভিযান চালায়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন। বুধবার রাতে উপজেলার কালাদী ও বৃহস্পতিবার সকালে কাঞ্চন পৌর বাজারে এসব ঘটনা ঘটনা।
কাঞ্চন পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার পর মেয়র স্থানীয় কলাতলী এলাকা থেকে কাঞ্চন আসার পথে কালাদী লস্কর বাড়ীর টেক এলাকায় পৌছুলে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ্য করে তার ব্যবহৃত গাড়ীতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরন ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। পরে গাড়ির চালক কৌশলে গাড়ী দ্রুত গতিতে চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে মেয়র প্রাণে রক্ষা পান। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়রের সমর্থিত কাঞ্চন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছোট ভাই আল আমিনকে পেয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল কলির লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তাদের দু’সহোদরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাম রসুল কলির বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তার বাহিনীর সদস্য টুটুল, লোহা শাহীন, আল আমিন, নবীউল হাসান শান্ত, আমিন, রাজ্জাক, রিফাত, ইকবাল, উজ্জলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পৌর মেয়র অভিযোগ করে বলেন, তিনি পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকে কাঞ্চন পৌর আওয়ালীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল কলির সাথে তার বিরোধ করে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিক হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা চলমান আছে। এসবের জেরে কলির লোকজন তাকে হত্যার চেষ্টা ও তার লোকজনকে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ মেয়রের।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ গোলাম রসুল কলির বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Development by: webnewsdesign.com