নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। পরাজয়ের ভয়ে কিছুক্ষণ আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবি যিনি বিএনপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমার জন্য কাজ করছিল, সেই পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকাসহ তারা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। এর আগেও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি আরও বলেন, যেসব চেয়ারম্যানরা আমার পক্ষে নির্বাচনে নেমেছিল তাদের বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে। ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামালের বাড়ি থেকে তার কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে গেছে। আমার মাইকিং করা অবস্থায় বন্দর থেকে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। আজকে অহিদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে, জোসেফের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সে আমার মহানগর যুবদলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিল। এভাবে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারপরেও আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাব।
তৈমূর আলম বলেন, জনগণ সেবা পায়নি। বরং এখানে সিটি করপোরেশন একটি বাণিজ্যিক করপোরেশনে পরিণত হয়েছে। ঠিকাদারদের একটা সিন্ডিকেট সিটি করপোরেশন এবং তাদের প্রভাবেই এটা পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমি আইভীকে কখনও আক্রমণ করে কথা বলবো না। তার দল আমাকে আক্রমণ করে অনেক কথাই বলছে। আমি তাকে কোনো আক্রমণ করিনি এবং সেও আমাকে পারসোনালি আক্রমণ করবে না এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তার বাবার সাথে আমার যে সম্পর্ক ছিল আমার প্রাণের ভাই, রক্তের ভাই ছিল আলি আহমদ চুনকা। তাকে সবসময় আমি সম্মান করি।
শামীম ওসমানের প্রেস কনফারেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি আমার কাছ থেকে সরানো যাবে না। আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা থেকে বিএনপি পড়বে। একটা জিনিস প্রমাণিত এমপি এবং মেয়রের কথায়। সেটা হল আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান। কে কাকে বহিষ্কার করবে, কে কার কমিটি ভাঙবে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবে। আমার নির্বাচন যারা করছে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। বিভাজন সরকারি দলের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, আমি শামীম ওসমানের একটা বক্তব্যে স্যালুট জানাই যদিও সে বয়সে আমার চেয়ে ছোট। সেটা হল তিনি বলেছেন ভোট জোর করে আদায় করা যায় না। ভোট ভালবাসা দিয়ে আদায় করতে হয়। সরকারি প্রার্থী যেভাবে থ্রেট করছে ফাদার-মাদার বলে এটা একধরনের থ্রেট। যেভাবে চরিত্র হনন করছে, তার পক্ষে যে নামেনি তার বিরুদ্ধেই বলছে। সরকারি দল বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দিচ্ছে যারা তাদের পক্ষে না নামছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শামীম ওসমানের বক্তব্যকে আমি স্যালুট জানাই।
Development by: webnewsdesign.com