ঢাকার নবাবগঞ্জে সোনার চেইন চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রুনা আক্তার (২৫) নামের এক তরুণী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় পপি আক্তার (২০) নামের আরেক তরুণী গুরুতর আহত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ময়নাতদন্তের জন্য রুনার লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে নবাবগঞ্জের বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর সেতুর ঢালে হজরত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ডহর মন্ডল গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে।
নিহত রুনা একই উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে বলমন্তচর সেতুর ঢাল এলাকার বাসিন্দা হজরত আলীর স্ত্রী জহুরা বেগম করোনার টিকা নিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। টিকা নেওয়ার জন্য তিনি লাইনে দাঁড়ান। বেলা ১১টার দিকে জহুরা বেগম তাঁর গলায় দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন দেখতে না পেয়ে পাশে দাঁড়ানো দুই তরুণীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেন। এ সময় জহুরা বেগম তাঁর স্বামী হজরত আলীকে সংবাদ দেন। এরপর ওই তরুণীদের ধরে বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর সেতুর ঢাল এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই বাড়িতে আশপাশের আরও কয়েকজন জড়ো হন।
তারা রুনা আক্তার ও পপি আক্তারকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে রুনা আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকজন পপি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুনার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘এ ঘটনার পর থেকে হজরত আলী ও তাঁর স্ত্রী জহুরা বেগম পলাতক। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Development by: webnewsdesign.com