সংরক্ষিত কামারছড়া বনে চলছে বৃক্ষনিধন

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১:৫৩ অপরাহ্ণ

সংরক্ষিত কামারছড়া বনে চলছে বৃক্ষনিধন
apps

সিলেট বন বিভাগের অধীনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনরেঞ্জের কামারছড়া বনবিটের সংরক্ষিত বনের টিলায় টিলায় চলছে বৃক্ষনিধন। অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজসে বিগত ৩ মাসে বিভিন্ন টিলা থেকে সেগুন, আকাশমণি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় শতাধিক বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বন থেকে পাচার হওয়া এসব গাছের গোড়াগুলো স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একই সাথে সামাজিক বনায়নের মূল্যবান বৃক্ষগুলো সাবাড় হচ্ছে। ফলে বৃক্ষশূন্য হচ্ছে বনের টিলাভূমি এবং পরিবেশেরও ক্ষতি বয়ে আনছে।কামারছড়া বনবিট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীমান্তঘেঁষা দুর্গম এলাকার এ বনের টিলায় টিলায় গড়ে ওঠা নানাপ্রজাতির মুল্যবান বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টিলায় থাকা বড় বড় গাছগুলো কেটে পাচার করা হচ্ছে। টিলায় টিলায় পড়ে রয়েছে গাছের গোড়া। বিগত ৩ মাসে এসব সংরক্ষিত বন হতে প্রায় শতাধিক বৃক্ষ কেটে পাচার করা হয়েছে। শুধু সংরিক্ষত বন নয় উপকারভোগীদের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের গাছগাছালি কেটে সাবাড় করছে চিহ্নিত বক্ষখেকোরা। অভিযোগ উঠেছে, খোদ বন বিভাগের লোকজন এসব গাছ পাচারের সাথে জড়িত।চিহ্নিত পাচারকারী চক্র বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে হাত মিলিয়ে বনের মূল্যবান বৃক্ষগুলো কেটে পাচার করছে বলে স্থানীয়রা জানান। আকাশি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ায় টিলাগুলো বৃক্ষশুণ্য হয়ে পড়ছে। এভাবে সামাজিক ওই বনের গাছ কেটে পাচার অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পুরো এলাকা বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে বলে অনেকের ধারণা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বনবিট কর্মকর্তার জ্ঞাতসারেই দেখভালের দায়িত্বে যারা আছে তারাই এসব গাছ কেটে পাচার করছে। দুর্গম বনের টিলা থাকার সুবাধে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বিঘ্নে তারা গাছ কেটে পাচার করছে। কাঠ পাচারকারীরা দীর্ঘসময় ধরে বড় বড় অধিকাংশ গাছ কেটে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এখন ছোট গাছগুলোও কেটে নিচ্ছে। এসব বিষয়ে বন বিভাগের বিট অফিসারকে কিছু জানালেও কোনো কাজ হয় না বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, প্রভাবশালী মহলের কারণে বনের টিলা ফাঁকা হচ্ছে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি নন। কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান তার ওপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। আগের দু-একটি গাছ কাটা থাকতে পারে। এসব বিষয়ে মামলাও রয়েছে। রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কামারছড়া সামাজিক বন এলাকায় ইতিপূর্বে যে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে সে বিষয়ে মামলা হয়েছে। কাঠ পাচারে বনবিট কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট কেউ কাঠ পাচারে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com