স্বাস্থ্যখাতে ভয়াবহ দুর্নীতি : দুদকের ২৫ দফার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০২০ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্যখাতে ভয়াবহ দুর্নীতি : দুদকের ২৫ দফার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
apps

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দেওয়া ২৫ দফা সুপারিশ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা বা পদক্ষেপ নিলে তার অগ্রগতি কী, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।

বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল ও ইশরাত হাসান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।

এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ও আইনজীবী মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী এ রিট করেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে সুপারিশের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেওয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়।

এসব উৎস বন্ধে দুদকের করা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী এবং কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পিএসসি ও বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেওয়া যেতে পারে।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে গত ৫ জুন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধ করা সহজ হবে। যন্ত্রপাতি কেনাসহ স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে বলেও তিনি জানান।

Development by: webnewsdesign.com