সবাইকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়ার চিন্তা ভাবনা তালেবানের

শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১ | ৩:২০ অপরাহ্ণ

সবাইকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়ার চিন্তা ভাবনা তালেবানের
apps

চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসনকে হটিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবান জানিয়েছে, তারা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করেই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বানানোর পরিকল্পনা করছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আফগানিস্তানের সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা থাকবেন বলে কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির একাধিক নেতা আশ্বাস দিয়েছেন।

‘নতুন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সব জাতি এবং উপজাতির নেতাদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে’ বলে জানিয়েছে তালেবানের ওই সূত্র। সরকারের অংশীদার হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন নাম বিবেচনাধীন আছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে সেটি এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়।

শনিবার তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বিশেষ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

৪০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটিতে বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে যারা কোনো না কোনোভাবে কেন্দ্রীয় রাজনীতির দ্বন্দ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পাশতুনরা হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী, যা জনসংখ্যার প্রায় ৪২ ভাগ। সাধাণত সুন্নি মুসলিমরা প্রধানত পাশতুন ভাষায় কথা বলে এবং ১৮ শতকের পর তারা আফগান রাজনীতিতে সক্রিয় অবদান রাখছে।

তালেবান সূত্রে আরও জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে আমির-উল মুমিনিনদের নিয়ে (কমান্ডার অব দ্যা ফেইথফুল) যারা ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান পরিচালনা করবে।

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গঠিন কাউন্সিল পরবর্তীতে সরকার গঠন ওমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পেতে পারেন। বিচারিক, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি, তথ্য এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন তারা।

তালেবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ বারাদার এখন রাজধানী কাবুলে অবস্থান করছেন। তবে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব কান্দাহার থেকে ফিরেছেন নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসতে।

তবে নতুন সরকারে তাজিক ও উজবেক গোষ্ঠীরও কাউকে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যেতে পারে আফগানিস্তানের নতুন সরকারে।

Development by: webnewsdesign.com