সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ………………এম এ এইচ শাহীন

সোমবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২২ | ৪:৩০ অপরাহ্ণ

সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ………………এম এ এইচ শাহীন
apps

বর্তমান বিশ্বের সফল নেতৃত্বের মধ্যে সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে অহরহ স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন যিনি তিনি হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাদার অব হিউমিনিটি দেশরত্ন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রাজ্ঞ, বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও দক্ষতাশীল অভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকা হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ইতো মধ্যে অবস্থান করেছে।

এক সময়ের তলা বিহীন ঝুড়ি হতে বের করে বর্তমান চার বারের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের চলমান ক্ষমতাধর সফল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সমন্বয় করে সামনের সারিতে অবস্হান করে বিশ্বসভায় জাতি ধর্মবর্ণ মানুষের জন্য সুন্দর বিশ্ব গড়ার লক্ষে নিরলস পরিশ্রম ও সার্বিক কাজ করে যাচ্ছেন।প্রায়,সত্তোর্ধ বয়সী-সাহসিকা-নারী এখনো তিনি দিনরাত ১৮ঘণ্টা সুস্থ দেহের মনোবল নিয়ে রাত্রে ইবাদত বন্দেগী তে নিজেকে লিপ্ত রাখেন।তাহাজ্জুদ,ও ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে দিনের কার্যসূচী মোতাবেক তাঁর উপর জনগণের ন্যাস্হ দায়িত্ব পালন করে যান।একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ তথা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। পিতার অসমাপ্ত সেই কাজটির সফল বাস্তবায়ন করেছেন কন্যা শেখ হাসিনা।

ধীর স্থীরে শত বাধা বিপত্তি ও প্রতিকুলতা হুমকি, ন্যাক্কারজনক দেশীয় বিদেশী স্বাধীনতা মু্ক্িতযুদ্ধ বিরোধী,শক্তি ও গোষ্ঠীর নানা অপ- তৎপরতা সামলে এগিয়ে চলেছেন তিনি। লক্ষ্যে যেতে হবে বহুদুর… যেখানে রয়েছে সুখ শান্তি সৌহার্দ ভরপুর মহান এবং মু্ক্িতযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে যেথে আপ্রাণ চেষ্টার প্রয়াসে তিনি নিরন্তর। মুক্তবুদ্ধির গণতন্ত্রে স্বাধীন মতপ্রকাশের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে তাহার ও গণমানুষের প্রাচীন সংগ্রামী জনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বেদানে বাংলার মানুষকে তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচন দূরীকরণের সক্ষমতা অর্জন করেছেন।এককথায় সর্বোপরি দেশের সবখাতে অগ্রগতির, উন্নতির ছোঁয়াতে পর্যবর্ষিত হচ্ছে।

প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে উপজেলা জেলা শহর সারাদেশ পর্যন্ত দিনবদলের নতুন পালায় উন্নয়নের মহাসড়কে দাড়িয়ে আমরা। বর্তমান বিশ্ব অবাক দৃশ্যপটে তাকিয়ে আছে আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া দ্রুততম সময়ে আমূল পরিবর্তনের দিকে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ফ্লাইওভার,পদ্মা সেতু ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন বড়বড় প্রকল্প, সমূহ দেখে অবাক বিষ্ময়ে গোটা বিশ্ব সমাজ এবং উন্নয়নশীল দেশ গুলো। তিনি শেখ হাসিনা সচেতন চোঁখ কান,খোলা রেখে প্রতিদিনের শুরুতে রুটিন মাফিক,দেশের দৈনিক খবরের কাগজগুলো পড়ে কাজ শুরু করেন। কাছে আসা ফাইল গুলো দেখে দেখে পড়ে নেন।জরুরী সময়ের প্রাসঙ্গিক সমস্যা,সমাধানে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাহার কাছে আসা কোন ফাইল পরে থাকেনা, ও মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে শুরু করে একনেক’ এর প্রতিটি সভায় নেয়া প্রকল্প সমূহের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি সর্বদা ওয়াকিবহাল থাকেন।

এমনকি তিনি দলের তৃনমূল নেতাকর্মী থেকে শুরুকরে সবার খোঁজ খবর, নিয়ে অবগত থাকেন। তাহার সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আমলা, পেশাজীবী, এর কর্মকাণ্ড সমপর্কে সৎ ধারণা রাখেন তিনি। শেখ হাসিনা কালের বিবর্তনে ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ঠের কালো রাত্রিতে।

ইতিহাসের গাদ্দার খ্যাত মীর জাফরের উত্তরসুরী মোশতাক গং ঘাতকদের হাতে পিতা, মাতা,ভাই পরিবার পরিজনসহ-গোটা-স্বজনদের হারিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লী’ তে নির্বাসিত দীর্ঘ, মর্মান্তিক, বেদনাময়ী সময় কাটিয়ে ১৯৮১ সালে ইডেন কলেজ কাউন্সিলে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ তিনি আওয়ামীলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন। সামরিক সরকারের তৎকালীন সময়ে অন্ধ কারাবৃত গণতন্ত্রের সু-পথ উদ্ধারে তিনি শেখ হাসিনা মানুষের গণতন্ত্রের আলো জ্বালাতে প্রদীপ দীপ্ত বাতিঘর হয়ে স্বদেশে আসেন, এবং নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে কাজ করে প্রেরণা যুগিয়ে সামনে চলতে নেতাকর্মীদের তৈরী করে সাহসী ভুমিকায় অবর্তিন হয়েছেন।

শেখ হাসিনা তার আপন দৃঢ়তা বলয়ে দলকে গুছিয়ে আনতে নিরন্তর কাজ সাহসিকতার সাথে গণতন্ত্রের বীজ বপন করতে সক্ষমতা গড়ে তুলেন।সুদীর্ঘ ৩৮ বছরে শেখ হাসিনা এদেশের প্রতিটি পরতে-পরতে মাটি ও মানুষের গভালবাসায় সিক্ত হন।এবং আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর সম্মান, আস্হা ও শ্রদ্ধায়,অভিষিক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা আর জাতির ভাগ্য নির্ধারণে ঐক্যের প্রতীক ও শেষ আশ্রয়ের পরম ঠিকানায় আবির্ভূত হয়েছেন বারবার যার দরুন ইতিহাসের নির্মম কালের মহা সাক্ষী শেখ হাসিনা কে বারবার কারাবরণ জীবননাশের চেষ্টা করেও ক্ষান্ত করতে পারেনি। বিশ্বের আরেক কিংবদন্তি ফিদেল কাস্ত্রোর’ হিমালয়খ্যাত শেখ মুজিবুর রহমানের বীর কন্যা যিনি শেখ হাসিনা। মাথা নত করেননি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে এখনো ক্ষমতার মসনদে সমাসীন রয়েছে।

পরিষ্কার ভাষায় শেখ হাসিনা বলেছেন যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে তিনি কাজ করে যাবেন।তার সাফ কথা কারো হুমকি-ধমকিতে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত নন ইনশাআল্লাহ। তাই বাংলাদেশি বাঙালী জাতি হিসেবে গর্বিত আমরা। শেখ হাসিনার সফল দর্শনে দীর্ঘ ২১ বছর পরে তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনয়ন করে পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য আর সংগ্রামী চেতনার উত্তরাধিকারী হিসেবে।দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপমহাদেশের অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আজ বিবেচিত।তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের তৈরি করা কালো আইন ভেঙে। একজন কন্যা হিসেবে সফল তিনি জাতি বিদ্বেষী মহলের গড়া জঞ্জাল সাফ করেন।

বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পিতার ঘাতকদের বিচার করে তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করেন। তিনি শেখ হাসিনা, জনমত গড়ে দ্বিতীয় বার গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেন।বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে গড়ে তোলা স্বপ্নের অসমাপ্ত সোনার বাংলা গড়তে কঠোরভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কঠোর হস্তে সন্ত্রাসবাদ,জঙ্গীবাদ দমনে মাদক, ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কঠিন লড়াইয়ে অবর্তিন হয়েছেন।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির অবস্হা খুবই নাজুক কোভিড১৯ কারনে। তারপরও দেশের অর্থনৈতিক চাহিদার চাকা ঘুরিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষপূর্তি পালন বাঙালির গৌরবের। লকডাউন এবং আসন্ন পবিত্র রমযান মাস বাজার পরিস্থিতি, সামলে শেখ হাসিনা সরকার, রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায়। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ আর আগ্রহ দেখিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্হানে হাইটেকপার্ক স্হাপন করে দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিলেন।

বর্তমান বাংলাদেশের দৃশ্যপট দেখে আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক ডক্টর মাহাতির বিন মোহাম্মদ, ও সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের রূপকার লিকুয়ানের সহিত শেখ হাসিনার তুলনা করে চলেছেন। এর একটাই কারন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলছে জন্মভূমি জননী আমাদের বাংলাদেশ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়ায় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত প্রিয়, বাংলাদেশ পরিশেষে শুভকামনা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
◼লেখক- কবি/সাংবাদিক,

Development by: webnewsdesign.com