শাবিপ্রবিতে শোক দিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

শাবিপ্রবিতে শোক দিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত
apps

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা গেছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) পূর্ব ঘোষণা  অনুযায়ী শোক দিবসের অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ ও কালো ব্যাজ ধারণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শোক র‍্যালির আয়োজন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। শোকর‍্যালিতে বেশিরভাগ জুড়েই ছিল বিএনসিসির উপস্থিতি। ছিলেন না শিক্ষক নেতাদের একাংশ।শাবিপ্রবিতে মূলত জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকে আওয়ামী সমর্থিত দু’টি শিক্ষক প্যানেল। প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালন করে থাকেন উভয় প্যানেলের শিক্ষকেরা।

কিন্তু এ বছর জাতীয় শোক দিবসের শোক র‍্যালি ও শোকসভায় শিক্ষকদের উপস্থিতি অনেক কম থাকায় প্রশ্ন উঠেছে।দিবসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চা ঐক্যবদ্ধ’ শিক্ষকদের প্যানেলের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষক প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ শিক্ষকদের অধিকাংশই ছিলেন অনুপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক র‍্যালি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবর্তে যেমন বিএনসিসির দখলে ছিল ঠিক শোকসভায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়াম ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলে।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রোগ্রামে (ম্যুরালে পুষ্পস্তবক) অংশগ্রহণ করেছি এবং নিজেদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।’ শোকর‍্যালি ও শোকসভায় অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুপুরের ট্রেনে আমি ঢাকায় যাচ্ছি। এজন্য পুষ্পস্তবকের পর সবাইকে বলে চলে আসা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মাঝে নানা রকমের ক্ষোভ আছে সেইসব বলাও যায়না। আমরা আমাদের মতো দিসবটি পালন করেছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জেষ্ঠ্য অধ্যাপক বলেন, শাবিপ্রবিতে দুই আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সবসময় কাজ করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে দুই শিক্ষক গ্রুপ একসাথেই এই দিবসগুলো পালন করে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কাজে উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করায় জাতীয় শোক দিবসে একটি পক্ষ ম্যুরালে ফুল দিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতাগুলোতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে উচিৎ ছিল বঙ্গবন্ধু ইস্যুতে সবাই একত্রে এই দিবসটি পালন করা।শাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি নেয়া হয়। শোকদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও প্রার্থনা সভা।

Development by: webnewsdesign.com