লালমনিরহাটে ধাঁনের পুজে আগুন লাগার মিথ্যা অপবাদ

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ৮:১৩ অপরাহ্ণ

লালমনিরহাটে ধাঁনের পুজে আগুন লাগার মিথ্যা অপবাদ
apps

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ধানের পুজে আগুন লাগার মিথ্যা অপবাদের ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ওরফে রবি, বাপ্পি অধিকারি, অভয় দেবনাথ, মিলন চন্দ্র এবং সুনিল চন্দ্র গত ৮ ডিসেম্বর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ্যে ন্যায় বিচারের জন্য তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার(৪ ডিসেম্বর) সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের উঃ ঘনেশ্যাম এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের দুলাল সাহা’র বাড়ীর ধানের পুজে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ওরফে রবি,বাপ্পি অধিকারি,অভয় দেবনাথ, মিলন চন্দ্র এবং সুনিল চন্দ্র উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যম এলকার সনাতন ধর্মালম্বী ব্যাক্তি। তাদের “রাধা মাধব যুব উন্নয়ন সংঘ” নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটি এলাকার সনাতন গরীব অসহায় মানুষের কাজে সবসময় নিয়োজিত থাকে।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত উত্তর ঘনেশ্যাম এলাকার বাবু বিরেন সেনের নাতনীর বিবাহের জন্য তুষভান্ডার বাজারে কালেকশন শেষে বাবু দেবদাস রায়ের দোকানে গিয়া বিভিন্ন বিষয় আলোচনা শেষে বাপ্পি অধিকারী ঔষধের জন্য মানিক সাহার দোকেন গেলে সেখানে দুলাল সাহার বাড়ীতে আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পারে।

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখতে পান ফায়ার সার্ভিসের লোকসহ স্থানীয় লোকজন দুলাল সাহার ধানের পুজে লাগানো আগুন নেভাচ্ছে।

পরে ওই সংগঠনটির সদস্যরা জানতে পারে দুলাল সাহ এলাকার বিভিন্ন লোকজনের নিকট রবীন্দ্রনাথ ওরফে রবি,বাপ্পি অধিকারি,অভয় দেবনাথ, মিলন চন্দ্র এবং সুনিল চন্দ্র এরা সকলে তার ধানের পুজে আগুন লাগিয়েছে।

ঘটনার বিষয় রাধা মাধব যুব উন্নয়ন সংঘের সদস্যদের নিকট ১৪ ডিসেম্বর জানতে চাইলে তারা বলেন, “আমারা আগুন লাগার বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘটনার সময় আমারা ৫ জন তুষভান্ডার বাজারে বিরেন সেনের নাতনির বিয়ের কালেকশন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কে বা কাহারা আগুন লাগিয়েছে এখন আমাদের নামে দুলাল সাহ মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন । মিথ্যা অপবাদ দেয়ার প্রতিবাদে আমরা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেছি। আমরা এর বিচার চাই”।

বিরেন সেনের স্ত্রী জানান, তারা সকলে “আমার নাতনির” বিয়ের জন্য তুষভান্ডার বাজারে কালেকশন করছিলেন। যে ছেলে গুলো অসহায় মানুষদের উপকারে সবসময় ব্যস্ত থাকে তারা আগুন লাগার ঘটনার সাথে জড়িত থাকতেই পারে না। যারা এমন ছেলেদের ফাঁসাতে চায় তাদের বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয় দুলাল সাহা’র নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,থানায় অভিযোগ করা আছে সেখান থেকে জানতে পারেন বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয় তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকার জানার চেষ্টা করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

Development by: webnewsdesign.com