গাজীপুরের শ্রীপুরে গত শনিবার গজারি জঙ্গল থেকে পোশাক শ্রমিক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, লাকড়ি কুড়াতে গেলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তারা। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ওমর ফারুক (২০), তিনি উপজেলার লোহাগাছ বিন্দুবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। অপরজন রাব্বি (১৯), তিনি একই এলাকার মো. হাসমতের ছেলে। নিহত নারীর নাম রাশিদা (৪৫)। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। এর মধ্যে ওমর ফারুক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও নিহত রাশিদা বেগম পূর্বপরিচিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ জানান, রাশিদা বেগম বাড়ির পাশে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত শনিবার (১ জানুয়ারি) বাড়ির অদূরে দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটা নামের গজারিবনের লাকড়ি কুড়াতে যান তিনি। সেখানে অভিযুক্ত ওমর ফারুক গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। রাব্বি গরু চড়াচ্ছিলেন। এর মধ্যে অভিযুক্তরা রাশিদাকে একা পেয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দেশ্যে পেছনে থেকে জাপটে ধরেন। তখন রাশিদা চিৎকার দিলে তার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ফারুক ও রাব্বি ধর্ষণ করেন। রাশিদা ও ফারুক একই কারখানার চাকরি করতেন। ফলে ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে ফারুক ও রাব্বি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেন। স্থানীয়রা পরদিন জঙ্গলে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
মামলার তদন্তকারী এসআই আমজাদ আরও জানান, হত্যার পর রাশিদার স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রূপার চেইন নিয়ে ওমর ফারুক স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যান। পরে সাঈদের দেওয়া তথ্যেমতে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বোনের বাড়ি জামালপুর থেকে নাকফুল ও রূপার চেন উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com