ঢাকার হাজীরবাগ এলাকা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন পপির লাশ আট দিন পর রংপুরের বদরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালের দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুরের নন্দনপুর এলাকার একটি চাষ করা জমির গর্ত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোশারেফ ঢাকায় আরমান হেল্থ কেয়ারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। ময়না তদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও মামলার আইও শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, গত ১১ জানুয়ারি পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল হোসেনের কাছে যান মোশারফ। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রবিউল তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যান বদরগঞ্জের শ্যামপুরে তার দুলাভাইয়ের বাসায়। সেখানেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর তাকে হত্যা করে রবিউল ও তার লোকজন। পরে লাশটি বস্তাবন্দি করে নন্দনপুরের একটি চাষ করা জমিতে গর্ত করে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় মোশারফের ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি গত বৃহস্পতিবার রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে রহস্য উন্মোচিত হয়।
পুলিশ গ্রেপ্তার করে কনস্টেবল রবিউল হোসেন তার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম ও পপির বাড়ির কাজের ছেলে বিপুলকে। রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্বীকার করে আসামিরা। গত শনিবার রাত থেকে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিউলের দেখানো সেই জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় মোশারফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেট।
রবিউল ইসলামে দেওয়া তথ্যে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পপিকে অপহরণের পর রবিউল রংপুরের শ্যামপুর এলাকায় তার বড় বোন লাবণী আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে হত্যার পর পাশের জমিতে পপির লাশ পুঁতে রাখে।
Development by: webnewsdesign.com