যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার’ (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) পাচ্ছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ৮ মার্চ স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ১৪ মার্চ একটি ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ডক্টর জিল বাইডেনের বক্তব্য রাখবেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে এ বছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বের মোট ১২ জন নারীদের মধ্যে রিজওয়ানা হাসানের নাম সবার প্রথমে রয়েছে।
রিজওয়ানা হাসানের বিষয়ে বলা হয়েছে- রিজওয়ানা হাসান একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি পরিবেশ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় সাহসী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে যুগান্তকারী আইনি মামলার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিশীলতা পরিবর্তন করে পরিবেশগত ন্যায়বিচারের ওপর জনকেন্দ্রিক দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। জনস্বার্থ আইন সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী হিসেবে বন উজাড়, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ভাঙা এবং অবৈধ ভূমি উন্নয়নের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন এবং জিতেছেন। ২০০৯ সালে তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ৪০ জন এনভায়রমেন্টার হিরোর একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং ২০১২ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন। শক্তিশালী মহলের প্রতিরোধ ও নিজের এবং পরিবারের প্রতি সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
নিজের কাজের জন্য ২০১২ সালে তিনি র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলেন। এর পরের বছরগুলোতে, তিনি শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ এবং নিজের ও পরিবারের উপর সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও পরিবেশগত অবক্ষয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আদালতে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চালিয়ে গেছেন।
আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার বা ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে প্রতিবছর দেওয়া একটি পুরস্কার, যা বিশ্বজুড়ে সেই সব নারীদের প্রদান করা হয় যারা বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব, সাহসিকতা, দক্ষতা এবং অন্যদের জন্য আত্মত্যাগের ইচ্ছা দেখিয়েছেন।
এ বছর আরও যারা পুরস্কার পাচ্ছেন- ব্রাজিলের সিমোন সিবিলিও দো নাসিমেন্টো, মিয়ানমারের ই থিনজার মং, কলম্বিয়ার জোসেফিনা ক্লিঞ্জার জোনিগা, ইরাকের তাইফ সামি মোহাম্মদ, লাইবেরিয়ার ফ্যাসিয়া বোয়েনোহ হ্যারিস, লিবিয়ার নাজলা মাঙ্গোশ, মলদোভার ডোইনা ঘেরমান, নেপালের ভুমিকা শ্রেষ্ঠা, রোমানিয়ার কারমেন ঘেওর্গে, দক্ষিণ আফ্রিকার রোয়েগচান্দা পাস্কো, ভিয়েতনামের ফুমওয়ান ট্রাং।
Development by: webnewsdesign.com