যা খুশি নির্মাণ হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে

রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০ | ২:৪৪ অপরাহ্ণ

যা খুশি নির্মাণ হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে
apps

চ্যানেলের ব্যবসায় রমরমা করে তুলতে একটা শ্রেণি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চোখ রাখলেই তার প্রমাণ মেলে। অনেক উঠতি নির্মাতা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নানা মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নজর কাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উদ্দেশ্য একটাই, ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওটির লাইক ও ভিউ বাড়ানো এবং তা থেকে আয় করা। মানের দিকে খেয়াল দেয়া হয় না একদমই।
কেন এমনটা করা হচ্ছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউটিউবার বলেন, ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর জন্য কোনো সেন্সর সনদপত্রের প্রয়োজন হয় না। তাই সেগুলো যেমন খুশি নির্মাণ করা যায়। তাতে যৌন সুড়সুড়ি থাকলেও কোনো সমস্যা থাকে না। যৌন সুড়সুড়ির আইটেমে ভিউ বেশি হয়। এছাড়া বিনিয়োগটা দীর্ঘ মেয়াদে হলেও তা ফেরত পাওয়া যায়। অন্তত লোকসানের মধ্যে পড়তে হয় না।’
এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা ‘আঁতেল’ ভাব থাকে, যা নির্মাতারা বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যেই জাহির করতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যে কী ধরনের আঁতলামি আছে, তা বোঝা মুশকিল। লক্ষ্য যদি শিল্পচর্চার পরিবর্তে লাইক ও ভিউয়ার্স বাড়ানো হয়, তাহলে সেটা কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
তবে ভালো গল্পের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাও আছেন অনেকে। যারা সত্যিকার অর্থেই সম্মানের জন্য সেই চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করেন। এই চলচ্চিত্রগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও অংশগ্রহণ করে এবং সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার মধ্য দিয়েই। একজন ভিউয়ার বলেন, বিজ্ঞাপনের আধিক্য এবং ভালো কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় টেলিভিশন দেখার আগ্রহ মানুষের কমে গেছে। এ জন্যই সবাই ইউটিউব চ্যানেলের দিকে ঝুঁকছে।’
তারা বলতে চান, লাগাতার বিজ্ঞাপন আগ্রহ নষ্ট করে। পাশাপাশি হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকায় টেলিভিশন দেখার দর্শক কমেছে। এমবি খরচ করে তারা ঢুকছে ইউটিউবে। মনোরঞ্জনের জন্য দেখছেন যেমন খুশি তেমন ভিডিও। বিশেষ করে, যৌন সুড়সুড়ির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতিই সবার আগ্রহ থাকে বেশি। এগুলোর নির্মাতারাও ভিউয়ার্সদের সেই দুর্বল দিকটারই সুযোগ নিচ্ছেন।
দৈর্ঘ্যরে স্বল্পতার কারণে এ ধরনের ছবি নির্মাণ করতে সময় কম লাগে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির শিল্পীরা নিজেদেরকে অভিনেতা-অভিনেত্রী বা শিল্পী বলেন না, বলেন মডেল। এই মডেলদের পেতে নির্মাতাদের কোনো অসুবিধা হয় না। কারণ এখানে কোনো সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নেই। সুতরাং অবাধ এ বিষয়টিকে একটা নীতিমালার মধ্যে আনা খুবই জরুরি বলে মত অনেকের।

Development by: webnewsdesign.com