মালয়েশিয়ায় কৃষি খামার রাতারাতি স্বচ্ছল হয়ে উঠছেন বাংলাদেশীরা

বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

মালয়েশিয়ায় কৃষি খামার রাতারাতি স্বচ্ছল হয়ে উঠছেন বাংলাদেশীরা
মালয়েশিয়ায় কৃষি খামার রাতারাতি স্বচ্ছল হয়ে উঠছেন বাংলাদেশীরা
apps

মালয়েশিয়ায় কৃষি খামার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশীরা। চুক্তিতে জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ধান চাষ, শাকসবজি ও মাছের খামার করে আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করছেন। মুনাফা বেশি পাওয়ায় খামারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

মালয়েশিয়া সরকার ধান উৎপাদনে বিনামূল্যে পানি, কীটনাশক, সার সরবরাহ করে থাকে। আবার উৎপাদিত ধানও ভালো দামে কিনে নেয়। উৎপাদন ভালো না হলে ভর্তুকিও দেয় সরকার। এসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে বাংলাদেশীরা সেখানে জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করে রাতারাতি স্বচ্ছল হয়ে উঠছেন। একবছরে একই জমিতে দুইবার ধান চাষের পাশাপাশি চলে সবজি উৎপাদন।

চাষি মশিয়ার রহমান বলেন, “জমি লিজ নেয়ার পর এদেশের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে। তিনবার সার ও ওষুধ দেয়, ধানের উৎপাদন কম হলে সরকার মুনাফা দেয়।”

ধান চাষের পাশাপাশি সবজি ও মাছের খামার করে লাভবান হচ্ছেন প্রবাসী চাষিরা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বাড়ছে চাষির সংখ্যাও। ভালো মজুরি ও দেশীয় মালিক হওয়ায় এসব খামারে বালাদেশি শ্রমিকেরা কাজ করতে আগ্রহী বেশি।

প্রবাসী ব্যবসায়ী রাশেদ বাদল বলেন, “আমরা চাই, এসব সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসুক। এদেশের যে টেকনোলজি ও প্রক্রিয়া সেটা জেনে আমাদের কর্মীরা আরও অভিজ্ঞ হবেন। পাশাপাশি রেমিটেন্স প্রবাহও বাড়বে।”

প্রবাসী সাংবাদিক মোস্তফা ইমরান রাজু বলেন, “এখানে প্রচুর ল্যান্ড রয়েছে, এখানে বাংলাদেশী কর্মীর যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে যদি উদ্যোগ নেয়া হয় এসব অনাবাদি জমিতে আবাদ করার তাহলে একদিকে যেমন জনশক্তি রপ্তানি বাড়বে তেমনি প্রচুর রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগও হবে।”

মালয়েশিয়ার অনেক পতিত জমি রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশীরা লিজ নিয়ে চাষ করলে আরও বেশি লাভবান হতে পারেন। এজন্য সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া দরকার।

 

Development by: webnewsdesign.com