“মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার-গর্জে উঠুক আরেকবার-জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের হুঁশিয়ার করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবশে করেছেন বাউফল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামসুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহণে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল বারেক হাওলাদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান, আবুল কালাম খান, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কুতুবুল আলম এবং প্রেসক্লাব সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উগ্র মৌলবাদীরা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তারা ক্ষমতায় এসে দেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিল। বিজয়ের রজত জয়ন্তীকালে স্বাধীনতার বিরোধি জামাত ও তাদের দোসররা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপণে বিরোধিতা করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে আঘাত করেছে। এই আঘাতের প্রতিঘাত করতে মুক্তিযোদ্ধারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশে জাতিয় নেতা, কবি, জাতির পিতা এবং বীরবিক্রম যোদ্ধাদের ভাস্কর্য রয়েছে।
ভাস্কর্য একটি দেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি বহণ করে। আমাদের দেশের মৌলবাদীরা সেটা জেনেও ফতোয়া দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ সরল-সহজ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমনিভাবে হানাদার পাকিস্তানীদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছি তেমনি এদেরকেও পরাজিত করে জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপণ করতে মুত্তিযোদ্ধারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এসময় বক্তরা উগ্রবাদী ওই ফতোয়াবাজদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অতি দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com