বড়লেখায় সরকারি রাস্তার ইট দপ্ততরির বাড়ীতে

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ | ৯:০২ অপরাহ্ণ

বড়লেখায় সরকারি রাস্তার ইট দপ্ততরির বাড়ীতে
apps

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও গ্রামের রাস্তার ৫০ মিটার স্থানের প্রায় ২ হাজার ইট খুলে নিয়ে দপ্তরির বাড়িতে রেখেছিলেন প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার। অতঃপর এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অবশেষে শুক্রবার বিকেলে ইটগুলো তিনি দফতরির বাড়ি থেকে স্কুলে ফেরত আনলেন।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের রাস্তা দিয়ে পশ্চিম গাংকুল গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা- যাওয়া করে। বিভিন্ন সময়ে সরকারি অর্থায়নে রাস্তার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। প্রায় ১০-১১ বছর আগে এডিপি প্রকল্পের অর্থে রাস্তাটি ইটসলিং করা হয়। সাম্প্রতিক
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে স্কুলে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এ ভবনের বেইজের একাংশ ইটসলিং রাস্তা ঘেষা হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার রাস্তার সরকারি ইট তোলেনিয়ে কাউকে না জানিয়ে স্কুলে না রেখে স্কুলের দফতরি আশিক আহমদের বাড়িতে নিয়ে রাখেন। এতে এলাকায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এঘটনায় স্কুলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগদিশ পাল ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে প্রধান শিক্ষক শুক্রবার ইট গুলো স্কুলে এনে রেখেছেন।

দফতরি আশিক আহমদ জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে রাস্তার ইটগুলি তোলেনিয়ে তার বাড়িতে রেখেছেন। শুক্রবার প্রধান শিক্ষক পুণরায় ইট গুলো স্কুলে নেওয়ার নির্দেশ দিলে বিকেলে তিনি তা স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

অভিযোগকারী জগদিশ চন্দ্র পাল জানান, পশ্চিম গাংকুল গ্রামের বাসিন্দারা এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। স্কুলের কাজের প্রয়োজনে রাস্তার ইট খুলে রাখার প্রয়োজন পড়লে তা খুলে স্কুলেই রাখতে পারতেন। তিনি কাউকে না জানিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দফতরির বাড়িতে সরকারি ইটগুলো নিয়ে রেখেছেন। সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার মুঠোফোনে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এই রাস্তাও বিদ্যালয়ের কোন গ্রামের নয়,ইটগুলোও বিদ্যালয়ের। এগুলো কোথায় কিভাবে রাখা হবে তা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নাই। এটা আমার সিদ্ধান্তে দপ্তরির বাড়িতে সরিয়ে রাখেছিলাম। আবার ফিরিয়ে এনেছি। টাকা খরছ হলে স্কুলের হবে। সবই ছহি আছে। আমারে খুচাখুচি করে কোন লাভ হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, এব্যাপারে গত ৩০ তারিখে লিখত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com