সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সরকারি খালে বিষ প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষের চাষের তিন লাক্ষ টাকার মাছ মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রস্থ কাদিপুর নামক স্থানের বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশে সরকারি খালে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন ওই গ্রামের মাহমুদ আলী তিন ছেলে আব্দুল হক, শানুর আলী ও আব্দুছ সাত্তার। রোববার সকালে তারা দেখতে পান খালের সব মাছ মরে ভেসে আছে।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে শাহান আহমদ (৩৫) গংরা তাদের খালে বিষ প্রয়োগ করেছেন। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্টে এই মাছ চাষ করে আসছিলাম। আমার মনে হয় রাতের আধারে আমাদের প্রতিপক্ষ দলেরা পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ মেরে আমাদেরকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
৯৯৯ এ তারা ফোন দিয়ে অভিযোগ দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীরকে সাথে নিয়ে পুকুরের মাছ জব্দ করা হয় এবং খালে থাকা বাকি মাছগুলো ধরে বিক্রি করে টাকা আনামত করে রাখার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের মুরব্বীরা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মাছ পুকুরের পানিতে মরে ভেসে উঠেছে। পাড়ে প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ দেখতে ভিড় করেছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ শাহান আহমদ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চলমান শত্রুতায় আমাদেরকে জব্দ করতে নিজেরাই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে আমাদের ওপর দোষ দিচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, খালের মাছগুলো বিক্রি করে টাকা জমা রাখা হচ্ছে। থানায় বসে এবিষয়টি সমাধান হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থানার ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তি সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু খালটি একটি সরকারি খাল। তাই এই খালের সব মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে এ বিষয়টি দুইপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।
Development by: webnewsdesign.com