বিদেশে অর্থপাচারে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ তথ্য দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অর্থপাচারের ঘটনায় রুল জারি করে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবদুল মোমেনের বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওইদিন বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন সরকারি কর্মচারীরা। আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়; সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে। আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে এবং এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চার জন। এছাড়া কিছু আছেন আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ী। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এরপর দেশের বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অর্থপাচারকারীদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
Development by: webnewsdesign.com