বিক্ষোভ রুখতে শিক্ষার্থীদের খাবারে বিষক্রিয়া ঘটানো হয়েছে কি ?

বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

বিক্ষোভ রুখতে শিক্ষার্থীদের খাবারে বিষক্রিয়া ঘটানো হয়েছে কি ?
বিক্ষোভ রুখতে শিক্ষার্থীদের খাবারে বিষক্রিয়া ঘটানো হয়েছে কি ?
apps

সম্প্রতি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরান। মূলত দেশটিতে পুলিশি হেফাজতে এক কুর্দি তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে হিজাববিরোধী এই আন্দোলন। বিক্ষোভ দমাতে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ আছে। এবার উঠল আরও গুরুতর অভিযোগ। বিক্ষোভ ঠেকাতে খাবারে বিষক্রিয়া ঘটনানো হয়েছে। এতে ১২০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারের বিরুদ্ধে তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য তৈরি হচ্ছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তার ঠিক আগে খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ১২০০ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভ রুখতেই খাবারে বিষ মেশানোর চক্রান্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, খারাজমি ও আর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা বমি করছেন। সেইসঙ্গে শরীরে ও মাথায় তীব্র ব্যথা। সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঠিক আগের দিনই শিক্ষার্থীদের খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত অসুস্থতায় সন্দেহ জোরালো হয়েছে। এর জেরে খারজমি ও আর্ক ছাড়াও আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটরিয়াগুলো থেকে খাবার না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

যদিও সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, পানিবাহিত ব্যাক্টেরিয়া এই অসুস্থতার কারণ। যদিও ছাত্র সংগঠনগুলো এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বিষ দেওয়া হয়েছে। টেলিগ্রামে ছাত্র নেতারা লিখেছেন, অতীতে ইসফাহান বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তারা মেনে নিতে পারছেন না।

কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসার ওষুধপত্রের সরবরাহ নেই কোথাও কোথাও। শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা সরকারের বিরুদ্ধে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তার আগে এ ধরনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট এই প্রতিবাদ দমন করতেই গণবিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীরা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটানোর অভিযোগ তুললেও এর স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আদৌ এই অভিযোগের কোনও সত্যতা আছে কি না তা হয়তো পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। উল্লেখ্য, হিজাব না পরায় মাসা আমিনি নামে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয় মাসার। তারপর দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, টেলিগ্রাফ

Development by: webnewsdesign.com