বাঘায় পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে টিনের ডুঙ্গা ডুবে আবারও এক যুবক নিখোঁজ 

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ

বাঘায় পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে টিনের ডুঙ্গা ডুবে আবারও এক যুবক নিখোঁজ 
বাঘায় পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে টিনের ডুঙ্গা ডুবে আবারও এক যুবক নিখোঁজ 
apps

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে টিনের তৈরী ডুঙ্গা ডুবে আবারও আসাদ হোসেন (১৮) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে চকরাজাপুর পদ্মা নদীর খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। আসাদ হোসেন বাঘা উপজেলার দাদপুর চরের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আসাদ হোসেন টিনের তৈরী ডুঙ্গা নিয়ে মাছ ধরতে চকরাজাপুর পদ্মা নদীর খেয়াঘাটে পশ্চিমে যাচ্ছিল। সে পদ্মার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে পদ্মার পাকে পড়ে ডুবে যায়। তার সাথে থাকা দুইজন এগিয়ে গিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি। পরে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নৌকা ও জাল নিয়ে এক ঘন্টা খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে আসাদের মেজো ভাই কায়েস উদ্দিন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। পদ্মায় মাছ ধরে সংসার চালায়। ভাই দুরের টিনের তৈরী ডুঙ্গা নিয়ে মাছ ধরতে আসেন। আমি এ সময় এতো দুপুরে না আসার জন্য বলি, কিন্তু ভাই আমার কথা না রেখে মাছ ধরতে এসে পদ্মায় জুবে নিঁেখাজ হয়ে যায়।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়া বলেন, স্থানীয়ভাবে নৌকা নিয়ে খোঁজ করে না পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে অবগত করেছি। তারা আসবে বলে জানিয়েছেন। এ দিকে ১৯ এপ্রিল উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন সজিব (১০) গোসলে করতে নেমে পদ্মায় তার ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া ১৪ এপ্রিল চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে ঝিলিক ও জান্নাতী খাতুন নামের দুই শিশু নিখোঁজ হয়। এরমধ্যে ২৩ ঘন্টা পর জান্নাতীর লাশ উদ্ধার হলেও ঝিলিকের লাশ ৭ দিনেও পাওয়া যায়নি। জান্নাতী খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে এবং ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে। তারা পরস্পর খালাতো বোন। তারা চৌমাদিয়ার মানিকের চরের আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমার ঈদের পরের দিন বিয়ে খেতে এসে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এ ঘটনাটি ঘটে।

Development by: webnewsdesign.com