বাউফল নির্বাচন অফিস হচ্ছে নির্যাতন অফিস!

বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

বাউফল নির্বাচন অফিস হচ্ছে নির্যাতন অফিস!
apps

বাউফলের সাধারন মানুষ নামের ভুল সংশোধন, পরিবর্তন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার স্থানন্তর, নতুন ভোটার হওয়াসহ নানবিধ কাজে বাউফল নির্বাচন অফিসে গেলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। অথচ দালালের মাধ্যমে নির্দিষ্ট টাকা দিলেই সেবা নিশ্চিত হয়। খোদ নির্বাচন অফিসের সামনেই অফিস কিছু দালাল তাদের অফিস খুলে বসেছেন। নির্বাচন অফিসে কাজের জন্য যাওয়া প্রত্যেককে দালালের মাধ্যম হয়ে সেবা পেতে হচ্ছে। নির্ধারিত অংকের টাকা না দিলে সেবা পান না সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ উপজেলা নির্বাচন অফিসকে ‘নির্যাতন অফিস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনেই মোশারেফ তালুকদার নামের এক ব্যাক্তি অফিস খুলে বসেছেন। নির্বাচন অফিসে কাজের জন্য গেলে অফিস সহকারিরা প্রথমে মোশারেফ তালুকদারের কাছে যেতে বলেন। এরপর নির্ধারিত কাজের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ভোটার স্থানন্তরসহ নানা কাজে তাকে দিতে হয় নির্ধারিত অংকের টাকা। টাকা পরিশোধের পরই মোশারেফ নিজে নির্বাচন অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কাজ করে দেন। অফিসের দোতলায় সিঁড়ির করিডোরেও রয়েছে মোশারেফের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বসার চেয়ার। নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাসহ কর্মচারীরা সাধারনত সাধারন মানুষের সাথে কথাও বলতে চান না। অনেকের সাথে দৃর্ব্যবহারও করা হয়।

আব্দুর রহিম নামের এক ব্যাক্তি বলেন, নামের সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর মোশারেফ সব কাজ করে দিবেন বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমার ধারণা ছিল মোশারেফ নির্বাচন অফিসের কর্মচারী। অবশ্য মোশারেফ তালুকদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই অফিসের লোক না। আমার পরিচিত কেউ কাজে এলে তাদেরকে সহযোগীতা করি। এদিকে নির্ধারিত অংকের টাকা না দিলে কাজের জন্য ঘুরতে হয় মাসের পর মাস এমনকি বছরও পাড় হয়ে যায়। কহিনুর বেগম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি ও আমার স্বামীর ভোটার স্থানন্তরের জন্য ১ বছর আগে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল পাইনি। অফিসে এলেই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরকম ভোগান্তি অন্য কোন অফিসে পাইনি। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আতাহার মাতুব্বর বলেন, বাউফল নির্বাচন অফিসে যরা যান তারা সকলেই মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হন। তাই আমি এটাকে বলি ‘নির্যাতন অফিস’ মনে করছি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, জনবল কম থাকায় শুধুমাত্র নির্বাচনকালীন মোশারেফ তালুকদারকে চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক হিসেবে রাখা হয়েছিল। তিনি অফিসিয়াল কোন কাজ করতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে সাধারন মানুষ অফিসে এলে কাজ হয় না, ঘুরছেন এটা সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। ###

 

Development by: webnewsdesign.com