বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাজধানীবাসী পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আন্ডারপাস

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১:৫৪ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাজধানীবাসী পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আন্ডারপাস
apps

 

দেশের প্রথম ও দৃষ্টিনন্দন আন্ডারপাস খুলে দেয়া হচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে হোটেল রেডিসন ও এমইএস বাসট্যান্ডের সংযোগ ঘটিয়ে মাটির নিচ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পথ। এই পথ আবার সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আর মাটির তলদেশে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তা গ্লাসের কাঠামো দিয়ে তৈরি। এমনকি ভেতরে বিশ্রাম ও শপিং করার মত জায়গা রাখা হয়েছে। বলা হচ্ছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আন্ডারপাসের কথা।

সড়ক থেকে ৮ মিটার মাটি তলদেশ সুড়ঙ্গ করে দেশে এই প্রথম ৪২ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিননন্দন আন্ডারপাসের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। সড়ক না কেটে ‘পুশ বক্স’ পদ্ধতিতে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে অর্থাৎ ১৭ মার্চ এটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।

সম্প্রতি আন্ডারপাসটি ঘুরে দেখা গেছে, ভেতের একসারিতে কমপক্ষে ১০ জন হাঁটতে পারবে এমন প্রশস্ততা রয়েছে। ৪২ মিটার দীর্ঘ আর ২৭০ বর্গমিটারের আন্ডারপাসটি উচ্চতায় ১৫ মিটার। দেশে একটি আন্ডারপাস নির্মাণে এটিই প্রথম ঘটনা যে, উপরে কোনো রাস্তা কাটতে হয়নি। ‘পুশবক্স’ পদ্ধতিতে আন্ডারপাসের ভেতরে খোদাই করে প্রি-কাস্ট বক্সস্লাব দিয়ে এর নির্মাণ শেষ হয়েছে।

আন্ডারপাস দুদিকে ঘুরে দেখা গেছে, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ। রঙ দেওয়া, টাইলস ও উপরে গ্লাস লাগানোর কাজ করছেন শ্রমিকরা। এর দুদিকে দুটি করে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে। আন্ডারপাসটি পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রেডিসন অংশে পথচারীদের বসে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে। বাইরের অংশে গ্লাসের কাঠামোটি দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো, যার ভেতরে থাকবে পথচারীদের জন্য বসার ব্যবস্থা।

এত বড় আর দৃষ্টিনন্দন আন্ডারপাস দেশে আর একটিও নেই- এমনটাই বলছেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের কর্মকর্তারা। তারা জানান, আন্ডারপাসের ভেতরে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো থাকবে। ওয়াকওয়ে হবে দৃষ্টিনন্দন। থাকবে বিশ্বমানের এস্কালেটর, লিফট এবং র‌্যাম্প। হুইল চেয়ার বা ট্রলি নিয়ে নামা যাবে এখানে। বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ শিশুরা সহজেই আন্ডারপাসটি ব্যবহার করতে পারবে।

আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীনে এটি নির্মাণ হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন সেনাসদস্যরা। এছাড়া সওজের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি দেখভাল করা হবে।

২০১৮ সালের ২৮ জুলাই এই সড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে এর নির্মাণ শুরু করেছিল সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড।

Development by: webnewsdesign.com