পীরগঞ্জে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

পীরগঞ্জে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
apps

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শীতের আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলেই বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার চাষিরা। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতেও আগাম সবজি চাষ করতে পিছপা হননি চাষিরা।

উপজেলার জবরহাট, ভোমরাদহ, খনগাঁও, ভাবনাগঞ্জ, সেতরাই ,জনগাঁও ,বিশ্বাসপুর সহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মূলা, করলা, পালংশাক ও লালশাকসহ শীতকালীন নানা সবজি চাষের ধুম পড়েছে।

কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতকালীন সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সে চারা ক্ষেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। নানা শীতকালীন সবজির ফসল পরিচর্যায় বেশির ভাগ সময় কাটছে কৃষকের। আগাম শীতকালীন সবজিই মূল লক্ষ্য উপজেলার শীতকালীন সবজি চাষিদের। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার শীতকালীন সবজি বেশি চাষ হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকেরা।

উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দিনমজুরদের সঙ্গে ক্ষেত পরিচর্যা, রোগ-বালাই দমন ও অধিক ফলনের আশায় নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছেন সবজি চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পনের থেকে বিশ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাকসবজি। বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন হবে ।

ভেলাতেড় গ্রামের সবজি চাষি কামরুজ্জামান বলেন, সাত কাঠা জমিতে করলা চাষে তার ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সবজি বাজারে তোলা পর্যন্ত আরও হাজার খানেক টাকার মতো খরচ হতে পারে। বেগুন চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ১৬-২০ হাজার টাকা। আমার বেগুন কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে তুলবো বলে জানান তিনি।

উপজেলার সেনুয়া গ্রামের সবজি চাষি হাসান আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শিক্ষিত বেকারও ঝুঁকছেন সবজি চাষে। এখন সবজি কম পাওয়া গেলেও মাসখানেকের মধ্যে ভরপুর হবে পীরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলোতে। দাম কিছুটা বেশি হলেও ভোক্তারা স্বাদ নেবে এসব সবজির।

বেকার যুবক জুয়েল রানা বলেন, অকেদিন ধরে চাকরির জন্য চেষ্টা করছি। কৃষক পরিবারের ছেলে আমি, আমার কৃষক বাবা একাই মাঠে পরিশ্রম করছেন। বর্তমানে চাকরির কথা মাথা থেকে ছুড়ে দিয়ে বাবার সাথে কৃষি কাজ করছি। আশা করছি সবজিতে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব পরিবারকে।

উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। এই এলাকার মাটি অনেক উব্রর তাই ফলন বেশি। এ অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

Development by: webnewsdesign.com